1 যে সাতজন স্বর্গদূতের হাতে সাতটা বাটি ছিল তাঁদের মধ্যে একজন এসে আমাকে বললেন, “অনেক জলের উপরে যে মহাবেশ্যা বসে আছে, এস, আমি তার শাস্তি তোমাকে দেখাই।
2 পৃথিবীর রাজারা তার সংগে ব্যভিচার করেছিল, আর যারা এই পৃথিবীর তারা তার ব্যভিচারের আংগুর-রসে মাতাল হয়েছিল।”
3 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে মরুভূমিতে নিয়ে গেলেন। তখন আমি পবিত্র আত্মার বশে ছিলাম। সেখনে আমি একজন স্ত্রীলোককে একটা লাল রংয়ের জন্তুর উপরে বসে থাকতে দেখলাম। ঈশ্বরকে অপমান করবার জন্য অনেকগুলো নাম সেই জন্তুটার উপর লেখা ছিল। তার সাতটা মাথা আর দশটা শিং।
4 সেই স্ত্রীলোকটা বেগুনী ও লাল রংয়ের পোশাক পরে ছিল এবং তার গায়ে সোনা, দামী দামী পাথর ও মুক্তার গহনা ছিল। জঘন্য জিনিষে ও তার ব্যভিচারের ময়লায় ভরা একটা সোনার বাটি তার হাতে ছিল।
5 তার কপালে এমন নাম লেখা ছিল যার বিষয়ে একটা গুপ্ত সত্য আছে। সেই নামটা হল, “নাম করা বাবিল, বেশ্যাদের এবং পৃথিবীর সব জঘন্য জিনিসের মা।”
6 আমি দেখলাম, সেই স্ত্রীলোকটা ঈশ্বরের লোকদের রক্ত এবং যারা যীশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে।
7 আমি তাকে দেখে খুব আশ্চর্য হলাম। তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য হচ্ছ কেন? স্ত্রীলোকটার এবং যে জন্তুটা তাকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সেই জন্তুটার গুপ্ত অর্থ তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ সেই জন্তু যার সাতটা মাথা আর দশটা শিং ছিল।
8 যে জন্তুটাকে তুমি দেখেছিলে সে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই। পরে সে সেই অতল গর্ত থেকে উঠে এসে অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করবে। তখন যারা এই পৃথিবীর, অর্থাৎ জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে যাদের নাম জীবন-বইতে লেখা নেই তারা সেই জন্তুটাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যাবে; কারণ জন্তুটা আগে ছিল, এখন নেই, অথচ আবার দেখা দেবে।
9 “এখন যা বলা হবে তা বুঝবার জন্য বুদ্ধির দরকার। সেই সাতটা মাথা হল সাতটা পাহাড় যার উপর স্ত্রীলোকটা বসে আছে। সেই সাতটা মাথা আবার সাতজন রাজাও বটে।
10 সেই রাজাদের মধ্যে পাঁচজন আগেই শেষ হয়ে গেছে, একজন এখনও আছে আর অন্যজন এখনও আসে নি। সেই রাজা আসবার পর তাকে কিছুকাল থাকতেই হবে।
11 যে জন্তুটা আগে ছিল কিন্তু এখন নেই সে ঐ সাতজনের মধ্যে একজন হলেও সে অষ্টম রাজা; সে অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করবে।
12 “যে দশটা শিং তুমি দেখেছ ওগুলো হল দশজন রাজা। তারা এখনও রাজত্ব করতে আরম্ভ করে নি, কিন্তু তারা সেই জন্তুর সংগে অল্প সময়ের জন্য রাজা হিসাবে রাজত্ব করবার ক্ষমতা পাবে।
13 এই রাজাদের উদ্দেশ্য একই, আর তারা সবাই তাদের ক্ষমতা ও অধিকার সেই জন্তুটাকে দেবে।
14 এরা মেষ-শিশুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আর মেষ-শিশু তাদের হারিয়ে দেবেন, কারণ তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা। যাদের ডাকা হয়েছে আর বেছে নেওয়া হয়েছে এবং যারা বিশ্বস্ত তারাই তাঁর সংগে থাকবে।”
15 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি যে জল দেখেছ, যার উপর সেই বেশ্যা বসে আছে, তা হল অনেক দেশ, অনেক লোক, অনেক জাতি ও অনেক ভাষা।
16 তুমি যে দশটা শিং দেখেছ সেগুলো আর সেই জন্তুটা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে। তারা তাকে ধ্বংস ও উলংগ করবে এবং তার মাংস খাবে; তারপর তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে।
17 এর কারণ হল, ঈশ্বর তাদের অন্তরে এমন ইচ্ছা দিয়েছেন যাতে তাঁর বাক্য সফল হয়। তার ফলে তারা একমন হয়ে সেই জন্তুটার কাছে তাদের সমস্ত ক্ষমতা দান করবে, যাতে ঈশ্বরের বাক্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সে রাজত্ব করতে পারে।
18 যে স্ত্রীলোকটাকে তুমি দেখেছিলে সে হল সেই নাম-করা শহর, যে জগতের সমস্ত রাজাদের উপরে রাজত্ব করছে।”