9 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “এই কথা লেখ, ‘মেষ-শিশুর বিয়ের ভোজে যাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে তারা ধন্য।’ ” তিনি এই কথাও বললেন, “এগুলো ঈশ্বরেরই কথা এবং তা সত্য।”
10 তখন আমি সেই স্বর্গদূতের পায়ের কাছে উবুড় হয়ে তাঁকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করলাম। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, “এ কি করছ? আমি তোমার সহদাস। ঈশ্বরকেই প্রণাম কর। তোমার বিশ্বাসী ভাইয়েরা, যারা যীশুর শিক্ষা ধরে রাখে, আমি তাদেরই একজন। যীশুর শিক্ষাই ছিল নবীদের শিক্ষার মূল কথা।”
11 পরে আমি দেখলাম স্বর্গ খোলাই আছে, আর সেখানে একটা সাদা ঘোড়া রয়েছে। যিনি সেই ঘোড়ার উপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম হল বিশ্বস্ত ও সত্য। তিনি ন্যায়ভাবে বিচার ও যুদ্ধ করেন।
12 তাঁর চোখ জ্বলন্ত আগুনের মত আর তাঁর মাথায় অনেক মুকুট ছিল। তাঁর গায়ে এমন একটা নাম লেখা ছিল, যে নাম তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না।
13 তাঁর পরনে ছিল রক্তে ডুবানো কাপড়, আর তাঁর নাম হল ঈশ্বরের বাক্য।
14 স্বর্গের সৈন্যদল সাদা পরিষ্কার মসীনার কাপড় পরে সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল।
15 তিনি যেন সমস্ত জাতিকে আঘাত করতে পারেন সেইজন্য তাঁর মুখ থেকে একটা ধারালো ছোরা বের হয়ে আসছিল। তিনি লোহার দণ্ড দিয়ে সব জাতিকে শাসন করবেন এবং আংগুর মাড়াই করবার গর্তে তিনি আংগুর পায়ে মাড়াবেন। এই আংগুর মাড়াই করবার গর্ত হল সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ভয়ংকর ক্রোধ।