12 দলীলা তখন কয়েকটা নতুন দড়ি দিয়ে শামাউনকে বাঁধল। তার ভিতরের ঘরে কতগুলো লোক ওৎ পেতে ছিল। দলীলা বলল, “শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে।” কিন্তু শামাউন সুতার মত করে তাঁর হাত থেকে দড়িগুলো ছিঁড়ে ফেললেন।
13 দলীলা তখন শামাউনকে বলল, “তুমি এই পর্যন্ত আমার কাছে মিথ্যা কথা বলে আমাকে বোকা বানিয়েছ। কি দিয়ে তোমাকে বাঁধা যায় তা আমাকে ঠিক করে বল।”জবাবে শামাউন বললেন, “আমার মাথার সাত গোছা চুল যদি তুমি তাঁতে বোনো তবে তা সম্ভব হবে।”
14 তখন দলীলা তাঁর চুল তাঁতে বুনে গোঁজের সংগে আঁটকে রেখে তাঁকে বলল, “শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে।” তখন শামাউন ঘুম থেকে জেগে উঠে গোঁজ আর তাঁতটা উপ্ড়ে ফেললেন।
15 এতে দলীলা তাঁকে বলল, “কেমন করে তুমি আমাকে বলতে পার যে, তুমি আমাকে ভালবাস? তোমার মন তো আমার উপরে নেই। এই নিয়ে তৃতীয়বার তুমি আমাকে বোকা বানালে। তোমার এই মহাশক্তির গোপন কথাটা আমাকে জানালে না।”
16 এইভাবে দিনের পর দিন সে তার কথা দিয়ে তাঁকে এমনভাবে জ্বালাতে লাগল যে, তাঁর জীবনের উপর একটা বিরক্তি এসে গেল।
17 কাজেই তিনি তাকে সব কথা খুলে বললেন। তিনি বললেন, “আমার মাথায় কখনও ক্ষুর দেওয়া হয় নি। জন্ম থেকেই আমি আল্লাহ্র উদ্দেশে একজন নাসরীয়। আমার মাথা কামানো হলে আমার শক্তি আমাকে ছেড়ে যাবে। তাতে আমি অন্য যে কোন লোকের মতই দুর্বল হয়ে পড়ব।”
18 দলীলা যখন বুঝল যে, তিনি তাকে সব কথা খুলে বলেছেন তখন সে ফিলিস্তিনী শাসনকর্তাদের কাছে এই বলে খবর পাঠাল, “আপনারা আর একবার আসুন। সে আমাকে সব কথা খুলে বলেছে।” কাজেই ফিলিস্তিনীদের শাসনকর্তারা রূপা সংগে নিয়ে আসলেন।