1 মাবুদ মূসাকে বললেন,
2 “তুমি রূপা পিটিয়ে দু’টা শিংগা তৈরী করে নাও। বনি-ইসরাইলদের ডেকে জমায়েত করবার জন্য এবং বিভিন্ন দলের যাত্রা শুরু করবার জন্য তুমি তা বাজাবে।
3 যখন দু’টা শিংগাই বাজানো হবে তখন বনি-ইসরাইলরা সকলে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে তোমার সামনে এসে জমায়েত হবে।
4 যখন একটা শিংগা বাজানো হবে তখন ইসরাইলের বিভিন্ন বংশের নেতারা তোমার সামনে এসে জমায়েত হবে।
5 শিংগা যখন প্রথমবার বাজানো হবে তখন যে দলগুলো পূর্ব দিকে তাম্বু ফেলে আছে তারা রওনা হবে।
6 দ্বিতীয় বার বাজানো হলে দক্ষিণ দিকের দলগুলো রওনা হবে। এটা হল বেরিয়ে পড়বার সংকেত।
7 লোকদের একসংগে জমায়েত করতে হলে তুমি দু’টা শিংগাই বাজাবে কিন্তু তার সংকেত হবে আলাদা রকমের।
8 “এই শিংগা বাজাবে হারুনের ছেলেরা, অর্থাৎ ইমামেরা। এটা হবে তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
9 নিজের দেশে থাকবার সময় যখন তোমরা কোন জুলুমবাজ শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে তখন দু’টা শিংগাই বাজিয়ে সংকেত দেবে। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তখন তোমাদের কথা ভেবে শত্রুদের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবেন।
10 তোমাদের আনন্দ-উৎসবের সময়ে, তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করা বিভিন্ন ঈদের সময়ে ও মাসের শুরুতে যখন তোমরা পোড়ানো-কোরবানীর ও যোগাযোগ-কোরবানী দেবে তখন তোমরা শিংগা বাজাবে। তা দিয়ে তোমাদের আল্লাহ্র সামনে তোমাদের তুলে ধরা হবে। আমি আল্লাহ্ তোমাদের মাবুদ।”
11 দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের বিশ দিনের দিন সাক্ষ্য-তাম্বুর উপর থেকে মেঘ সরে গেল।
12 তখন বনি-ইসরাইলরা সিনাই মরুভূমি ছেড়ে বের হয়ে পড়ল। সেই মেঘ পারণ মরুভূমিতে এসে স্থির হয়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তারা চলতেই থাকল।
13 মূসার মধ্য দিয়ে মাবুদের দেওয়া হুকুম অনুসারে তারা এই প্রথম বারের মত যাত্রাপথে পা বাড়াল।
14 প্রথমেই রওনা হল এহুদা-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় নিশানের তলায়। এহুদা-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন।
15 ইষাখর-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল সূয়ারের ছেলে নথনেলের উপর,
16 আর সবূলূন-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল হেলোনের ছেলে ইলীয়াবের উপর।
17 তারপর আবাস-তাম্বুটা খুলে ফেলা হল আর গের্শোনীয় ও মরারীয়রা সেটা বয়ে নিয়ে চলল।
18 এদের পরে রওনা হল রূবেণ-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় নিশানের তলায়। রূবেণ-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর।
19 শিমিয়োন-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েলের উপর,
20 আর গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফের উপর।
21 এদের পরে আবাস-তাম্বুর পাক-পবিত্র জিনিসপত্র নিয়ে কহাতীয়রা রওনা হল। কহাতীয়রা পৌঁছাবার আগেই আবাস-তাম্বুটা খাটিয়ে ফেলবার কথা ছিল।
22 এদের পরে রওনা হল আফরাহীম-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় নিশানের তলায়। আফরাহীম-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা।
23 মানশা-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েলের উপর,
24 আর বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল গিদিয়োনির ছেলে অবীদানের উপর।
25 সবার শেষে রওনা হল দান-বিভাগের বিভিন্ন দল তাদের বিভাগীয় নিশানের তলায়। এরা রক্ষীদল হিসাবে সমস্ত দলগুলোর পিছনে গেল। দান-গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর।
26 আশের-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল অক্রণের ছেলে পগীয়েলের উপর,
27 আর নপ্তালি-গোষ্ঠীর লোকদের ভার ছিল ঐননের ছেলে অহীরয়ের উপর।
28 ইসরাইলীয় বিভিন্ন দলগুলো এইভাবে পর পর রওনা হয়ে গিয়েছিল।
29 এর পর মূসা তাঁর শ্বশুর মাদিয়ানীয় শোয়াইবের ছেলে হোববকে বললেন, “মাবুদ যে দেশ আমাদের দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন আমরা সেই দেশের দিকে রওনা হচ্ছি। তুমি আমাদের সংগে চল। আমরা তোমাকে মেহেরবানীই করব, কারণ মাবুদ বনি-ইসরাইলদের অনেক মেহেরবানী করবেন বলে ওয়াদা করেছেন।”
30 জবাবে হোবব বলল, “না, আমি যাব না। আমি আমার নিজের দেশে নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
31 কিন্তু মূসা বললেন, “না, না, তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যেয়ো না। তোমার জানা আছে মরুভূমির মধ্যে কোথায় আমাদের তাম্বু ফেলা উচিত, কাজেই তুমি হবে আমাদের চোখ।
32 তুমি যদি আমাদের সংগে আস তবে মাবুদ আমাদের যে মেহেরবানী করবেন বলে ওয়াদা করেছেন তার ভাগ আমরা তোমাকেও দেব।”
33 এইভাবে বনি-ইসরাইলরা মাবুদের পাহাড়ের কাছ থেকে রওনা হয়ে তিন দিনের পথ এগিয়ে গেল। তাদের বিশ্রামের জন্য একটা জায়গা খুঁজে বের করবার উদ্দেশ্যে সেই তিন দিন পর্যন্ত মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি তাদের আগে আগে গেল।
34 ছাউনি তুলে রওনা হওয়ার পর দিনের বেলা মাবুদের মেঘ বনি-ইসরাইলদের উপরে থাকত।
35 যখনই সাক্ষ্য-সিন্দুকটি রওনা হত মূসা বলতেন, “হে মাবুদ, ওঠো। তোমার শত্রুরা সব ছড়িয়ে পড়ুক আর যারা তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”
36 যখনই সেটি থামত তিনি বলতেন, “হে মাবুদ, অসংখ্য বনি-ইসরাইলদের কাছে তুমি ফিরে এস।”