1 ইউসুফের বংশধরদের বংশ থেকে গিলিয়দের বিভিন্ন বংশের নেতারা এসে মূসা এবং বনি-ইসরাইলদের অন্যান্য বংশের নেতাদের সংগে কথা বললেন। গিলিয়দ ছিল মাখীরের ছেলে এবং মানশার নাতি।
2 তাঁরা বললেন, “ইসরাইলীয়দের মধ্যে দেশের জায়গা-জমি গুলিবাঁট করে ঠিক করবার হুকুম দেবার সময় মাবুদ আমাদের মালিককে বলেছিলেন আমাদের ভাই সলফাদের সম্পত্তি যেন তার মেয়েদের দেওয়া হয়।
3 কিন্তু বনি-ইসরাইলদের অন্য গোষ্ঠীর লোকদের সংগে যদি এই মেয়েদের বিয়ে হয় তবে আমাদের পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি থেকে তাদের সম্পত্তি বের হয়ে গিয়ে যোগ হবে তাদের স্বামীদের গোষ্ঠীর সম্পত্তিতে, আর তাতে আমাদের গোষ্ঠীর সম্পত্তির ভাগ থেকে কিছু অংশ চলে যাবে।
4 বনি-ইসরাইলদের ফিরে পাওয়ার বছরে তাদের সম্পত্তি শেষ পর্যন্ত গিয়ে যোগ হবে তাদের স্বামীদের গোষ্ঠীর সম্পত্তিতে। এইভাবে আমাদের পূর্বপুরুষদের গোষ্ঠীর সম্পত্তি থেকে তাদের সম্পত্তি বের করে নেওয়া হবে।”
5 তখন মাবুদের হুকুম মত মূসা বনি-ইসরাইলদের বললেন, “ইউসুফের ছেলেদের এই গোষ্ঠীর লোকেরা যা বলছে তা ঠিক।
6 তাই সলফাদের মেয়েদের সম্বন্ধে মাবুদ এই হুকুম দিচ্ছেন যে, তারা প্রত্যেকে যাকে খুশী তাকে বিয়ে করতে পারে, তবে যাকে সে বিয়ে করবে তাকে তার পিতার গোষ্ঠীর লোক হতে হবে।
7 বনি-ইসরাইলদের সম্পত্তি এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে যেতে পারবে না। প্রত্যেক ইসরাইলীয়কেই তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া গোষ্ঠীর সম্পত্তি ধরে রাখতে হবে।
8 বনি-ইসরাইলদের প্রত্যেকে যাতে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তির মালিক থাকতে পারে সেইজন্য ইসরাইলীয় গোষ্ঠীর প্রত্যেকটি মেয়ে-ওয়ারিশকে তার পিতার গোষ্ঠীর কাউকে বিয়ে করতে হবে।
9 কোন সম্পত্তিই এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে চলে যেতে পারবে না। বনি-ইসরাইলদের প্রত্যেক গোষ্ঠীকেই তার পাওয়া সম্পত্তি ধরে রাখতে হবে।”
10-11 তখন মহলা, তির্সা, হগ্লা, মিল্কা ও নোয়া নামে সলফাদের মেয়েরা মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম মতই কাজ করল। তারা তাদের পিতার সম্পর্কে যারা ভাই হয় তাদের বিয়ে করল।
12 ইউসুফের ছেলে মানশার বংশধরদের বংশের মধ্যেই তারা বিয়ে করল। তাতে তাদের সম্পত্তি তাদের পিতার বংশ ও গোষ্ঠীর মধ্যেই থেকে গেল।
13 জেরিকোর উল্টাদিকে জর্ডান নদীর ধারে মোয়াবের সমভূমিতে মাবুদ মূসার মধ্য দিয়ে বনি-ইসরাইলদের এই সব হুকুম ও নিয়ম দিয়েছিলেন।