শুমারী 29 MBCL

শিংগাধ্বনির ঈদের কোরবানীর নিয়ম

1 “সপ্তম মাসের পয়লা তারিখে তোমরা একটি পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল করবে। সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। ঐ দিনটা হবে তোমাদের শিংগা বাজাবার দিন।

2 মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে তোমরা সেই দিন একটা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দেবে। এগুলো হতে হবে নিখুঁত।

3-4 শস্য-কোরবানীর জন্য ষাঁড়টার সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে। ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম।

5 গুনাহ্‌ ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে গুনাহের কোরবানীর জন্য তোমাদের একটা ছাগলও আনতে হবে।

6 প্রত্যেক মাসের ও প্রত্যেক দিনের নির্দিষ্ট করা পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া এই সব কোরবানীও দিতে হবে। এগুলো মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানী যার খোশবুতে মাবুদ খুশী হন।

গুনাহ্‌ ঢাকা দেবার ঈদের কোরবানীর নিয়ম

7 “এই সপ্তম মাসের দশ তারিখেও একটি পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল করতে হবে। এই দিনে তোমরা প্রত্যেকে নিজের অন্তর ভেংগেচুরে কষ্ট স্বীকার করবে এবং সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখবে।

8 মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে তোমাদের একটা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। তার প্রত্যেকটাকেই নিখুঁত হতে হবে।

9-10 শস্য-কোরবানীর জন্য ষাঁড়টার সংগে তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে। ভেড়াটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং সাতটা বাচ্চা-ভেড়ার প্রত্যেকটার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম।

11 গুনাহ্‌ ঢাকা দেবার গুনাহের কোরবানী ও নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানীর সংগেকার শস্য-কোরবানী এবং এগুলোর সংগেকার ঢালন-কোরবানী ছাড়া আরও একটি গুনাহের জন্য কোরবানীর জন্য একটি ছাগলও আনতে হবে।

কুঁড়ে-ঘরের ঈদের কোরবানীর নিয়ম

12 “সপ্তম মাসের পনেরো তারিখেও একটি পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। তোমরা মাবুদের উদ্দেশে সাত দিন ধরে উৎসব পালন করবে।

13 মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে একটা আগুনে দেওয়া-কোরবানী করতে হবে। এর জন্য তেরটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

14-15 প্রত্যেকটা ষাঁড়ের সংগে শস্য-কোরবানীর জন্য তেলের ময়ান দেওয়া পাঁচ কেজি চারশো গ্রাম মিহি ময়দা দিতে হবে; ভেড়া দু’টার প্রত্যেকটার সংগে দিতে হবে তিন কেজি ছ’শো গ্রাম এবং প্রত্যেকটা বাচ্চা-ভেড়ার সংগে দিতে হবে এক কেজি আটশো গ্রাম।

16 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া গুনাহের কোরবানীর জন্য একটা ছাগলও আনতে হবে।

17 “ঈদের দ্বিতীয় দিনে বারোটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

18 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

19 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানী দিতে হবে এবং এগুলোর সংগে দিতে হবে তাদের সংগেকার ঢালন-কোরবানী।

20 “ঈদের তৃতীয় দিনে এগারোটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

21 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

22 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

23 “ঈদের চতুর্থ দিনে দশটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

24 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

25 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

26 “ঈদের পঞ্চম দিনে নয়টা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

27 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

28 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

29 “ঈদের ষষ্ঠ দিনে আটটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

30 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

31 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

32 “ঈদের সপ্তম দিনে সাতটা ষাঁড়, দু’টা ভেড়া এবং চৌদ্দটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

33 এই সব ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

34 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

35 “অষ্টম দিনে শেষ দিনের বিশেষ মাহ্‌ফিল করতে হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।

36 মাবুদকে খুশী করবার খোশবু হিসাবে তাঁর উদ্দেশে একটি আগুনে দেওয়া-কোরবানী দিতে হবে। এর জন্য একটা ষাঁড়, একটা ভেড়া এবং সাতটা এক বছরের বাচ্চা-ভেড়া দিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দিতে হবে। এগুলোর প্রত্যেকটাকে নিখুঁত হতে হবে।

37 ষাঁড়, ভেড়া ও বাচ্চা-ভেড়ার সংখ্যা যত হবে তাদের সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানীর সংখ্যাও তত হবে; আর তা হবে আগের দেওয়া নিয়ম অনুসারে।

38 নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানী ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী ছাড়া একটা ছাগল দিয়ে গুনাহের কোরবানীও দিতে হবে।

39 “মানত পূরণ এবং নিজের ইচ্ছায় করা কোরবানী হিসাবে তোমরা যে সমস্ত পোড়ানো-কোরবানী, শস্য-কোরবানী, ঢালন-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দেবে সেগুলো ছাড়াও প্রত্যেকটা নির্দিষ্ট ঈদের সময়ে তার উপযুক্ত কোরবানী মাবুদের উদ্দেশে তোমাদের দিতে হবে।”

40 মাবুদ যে সমস্ত হুকুম মূসাকে দিয়েছিলেন তা তিনি বনি-ইসরাইলদের জানালেন।

অধ্যায়

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36