12 তখন দাউদ তাকে বললেন, “আজকের দিনটাও তুমি এখানে থাক; কালকে আমি তোমাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।” কাজেই উরিয়া সেই দিনটা এবং তার পরের দিনও জেরুজালেমে রয়ে গেল।
13 দাউদ তাকে দাওয়াত করলে পর সে দাউদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করল আর দাউদ তাকে মদানো রস খাইয়ে মাতাল করে তুললেন। কিন্তু রাত হলে উরিয়া বাদশাহ্র কর্মচারীদের মধ্যে নিজের বিছানায় শুয়ে রইল, বাড়ী গেল না।
14 পরদিন সকালে দাউদ যোয়াবকে একটা চিঠি লিখে উরিয়ার হাতে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন।
15 তার মধ্যে তিনি এই কথা লিখেছিলেন, “যেখানে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হচ্ছে সেখানে সৈন্যদের সামনের সারিতে উরিয়াকে পাঠাবে, তারপর তার পিছন থেকে তোমরা সরে যাবে যাতে সে আঘাত পেয়ে মারা যায়।”
16 কাজেই শহর ঘেরাও করবার সময় যোয়াব উরিয়াকে এমন একটা জায়গায় পাঠালেন যেখানে বিপক্ষের শক্তিশালী যোদ্ধারা ছিল বলে তিনি জানতেন।
17 পরে শহরের লোকেরা বের হয়ে এসে যখন যোয়াবের সংগে যুদ্ধ করতে লাগল তখন দাউদের সৈন্যদলের কিছু লোক মারা পড়ল আর সেই সংগে হিট্টীয় উরিয়াও মারা গেল।
18-20 যোয়াব লোক পাঠিয়ে যুদ্ধের সমস্ত খবর দাউদকে দিলেন। যাকে দিয়ে খবর পাঠানো হচ্ছিল যোয়াব তাকে বললেন, “যুদ্ধের এই খবর বাদশাহ্র কাছে দিলে পর বাদশাহ্ হয়তো রাগে জ্বলে উঠে তোমাকে বলবেন, ‘যুদ্ধ করবার জন্য কেন তোমরা শহরের এত কাছে গিয়েছিলে? দেয়ালের উপর থেকে তারা যে তীর ছুঁড়বে তা কি তোমরা জানতে না?