9 তখন তকোয়ের স্ত্রীলোকটি বাদশাহ্কে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ, বাদশাহ্ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ থাকুক; সব দোষ গিয়ে পড়ুক আমার ও আমার পিতার পরিবারের উপর।”
10 বাদশাহ্ বললেন, “যদি কেউ তোমাকে কিছু বলে থাকে তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে; তাহলে সে তোমাকে আর কষ্ট দেবে না।”
11 স্ত্রীলোকটি বলল, “মহারাজ তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র নামে কসম খান যেন রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী আর সর্বনাশ না করে। তা না হলে সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে।”বাদশাহ্ বললেন, “আল্লাহ্র কসম, তোমার ছেলের একটা চুলও মাটিতে পড়বে না।”
12 তখন স্ত্রীলোকটি বলল, “আমাকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটা কথা বলতে দিন।”তিনি বললেন, “বল।”
13 স্ত্রীলোকটি বলল, “তাহলে আপনি আল্লাহ্র বান্দাদের বিরুদ্ধে সেই রকম একটা কাজ করবার মতলব করেছেন কেন? মহারাজ যখন এই রকম কথা বলেন তখন কি তিনি নিজেকেই দোষী করছেন না? তিনি তো দেশ থেকে বের করে দেওয়া তাঁর ছেলেটিকে ফিরিয়ে আনছেন না।
14 মাটিতে পানি ঢাললে যেমন তা আর তুলে নেওয়া যায় না সেইভাবেই তো আমরা মরব। আল্লাহ্ কিন্তু প্রাণ কেড়ে নেন না বরং তিনি এমন ব্যবস্থা করেন যাতে দূর করে দেওয়া লোক তাঁর কাছ থেকে দূরে না থাকে।
15 “লোকেরা আমাকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বলে আমার প্রভু মহারাজকে আমি এই কথা বলতে এসেছি। আমি ভেবেছিলাম যে, আমি বাদশাহ্র সংগে কথা বলে দেখব; হয়তো তিনি আমার কথা শুনবেন।