10 যোয়াবের হাতে যে সেই ছোরাটা ছিল সেই দিকে অমাসা খেয়াল করে নি। যোয়াব সেই ছোরা তাঁর পেটে ঢুকিয়ে দিলেন। তাতে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে মাটিতে পড়ল। অমাসাকে আর আঘাত করবার দরকার হল না। তিনি মারা গেলেন। এর পর যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় বিখ্রির ছেলে শেবের পিছনে তাড়া করে গেলেন।
11 যোয়াবের একজন লোক অমাসার লাশের কাছে দাঁড়িয়ে বলল, “যে যোয়াবকে ভালবাসে এবং যে দাউদের পক্ষের লোক সে যেন যোয়াবের পিছনে পিছনে যায়।”
12 অমাসার লাশটা তখন রাস্তার মাঝখানে রক্তের মধ্যে পড়ে ছিল। যোয়াবের সেই লোকটি দেখল যে, সৈন্যেরা সবাই অমাসার কাছে এসে থেমে যাচ্ছে, তাই সে অমাসাকে রাস্তা থেকে টেনে একটা মাঠে নামিয়ে নিয়ে গেল এবং একখানা কাপড় দিয়ে তাকে ঢেকে দিল।
13 অমাসাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে পর সব লোকেরা যোয়াবের পিছনে পিছনে বিখ্রির ছেলে শেবঃকে তাড়া করতে গেল।
14 শেবঃ ইসরাইলের সমস্ত গোষ্ঠীর এলাকার মধ্য দিয়ে এবং বেরীয়দের সমস্ত এলাকা দিয়ে আবেল-বৈৎমাখা পর্যন্ত গেল। সেখানে লোকেরা জমায়েত হয়ে শেবের পিছনে পিছনে শহরে ঢুকল।
15-16 তারপর যোয়াবের সংগে সমস্ত সৈন্যদল এসে আবেল-বৈৎমাখা ঘেরাও করল। তারা শহরের বাইরের দেয়ালের সংগে একটা ঢালু ঢিবি তৈরী করল। তারপর তারা যখন ভিতরের দেয়ালটা ভাঙ্গতে শুরু করল তখন একজন বুদ্ধিমতী স্ত্রীলোক শহরের ভিতর থেকে জোরে ডেকে বলল, “শুনুন, শুনুন, যোয়াবকে এখানে আসতে বলুন যাতে আমি তাঁর সংগে কথা বলতে পারি।”
17 যোয়াব তার দিকে এগিয়ে গেলে পর সে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি কি যোয়াব?”তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমি যোয়াব।”স্ত্রীলোকটি বলল, “আপনার বাঁদীর কথা শুনুন।”তিনি বললেন, “শুনছি।”