22 ঠিক সেই সময়ে দাউদের লোকেরা ও যোয়াব শত্রুদের হামলা করা শেষ করে অনেক লুটের মাল নিয়ে ফিরে আসলেন। তখন অবনের হেবরনে দাউদের কাছে ছিলেন না, কারণ দাউদ তাঁকে বিদায় করে দিয়েছিলেন আর তিনি শান্তিতে চলে গিয়েছিলেন।
23 যোয়াব ও তাঁর সংগের সৈন্যেরা ফিরে আসলে পর লোকেরা যোয়াবকে বলল যে, নেরের ছেলে অবনের বাদশাহ্র কাছে এসেছিলেন এবং বাদশাহ্ তাঁকে বিদায় করে দিয়েছেন এবং তিনি শান্তিতে চলে গেছেন।
24 যোয়াব তখন বাদশাহ্র কাছে গিয়ে বললেন, “এ আপনি কি করলেন? অবনের তো আপনার কাছে এসেছিল, আপনি কেন তাকে চলে যেতে দিলেন? সে এখন চলে গেছে।
25 আপনি তো নেরের ছেলে অবনেরকে জানেন; সে আপনার সংগে ছলনা করে আপনার খোঁজ খবর নিতে এবং আপনি কি করছেন না করছেন তা জানতে এসেছিল।”
26 এই বলে যোয়াব দাউদের কাছ থেকে বের হয়ে গিয়ে অবনেরের খোঁজে লোক পাঠালেন। তারা সিরা নামে একটা কূয়ার কাছ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনল। দাউদ কিন্তু এই সব জানতেন না।
27 অবনের হেবরনে ফিরে আসলে পর যোয়াব তাঁর সংগে গোপনে আলাপ করবার ছল করে শহরের দরজার মধ্যে নিয়ে গেলেন। তারপর তাঁর পেটে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করলেন। এইভাবে তিনি তাঁর ভাই অসাহেলের রক্তের শোধ নিলেন।
28-30 যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অবনেরকে হত্যা করলেন, কারণ তিনি তাঁদের ভাই অসাহেলকে গিবিয়োনের যুদ্ধে মেরে ফেলেছিলেন।পরে দাউদ সেই খবর পেয়ে বললেন, “নেরের ছেলে অবনেরের রক্তপাতের ব্যাপারে আমি ও আমার রাজ্য মাবুদের সামনে চিরদিনের জন্য নির্দোষ। যোয়াব ও তাঁর পিতার বংশের সকলেই যেন সেই রক্তের দায়ী হয়। যোয়াবের বংশে সব সময় যেন কেউ না কেউ পুরুষাংগের স্রাব কিংবা চর্মরোগে ভোগে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে চলে, কেউ খুন হয় কিংবা কেউ খাবারের অভাবে কষ্ট পায়।”