1 নবী ইয়ারমিয়ার মধ্য দিয়ে বলা মাবুদের কালাম পূর্ণ হবার জন্য পারস্যের বাদশাহ্ কাইরাসের রাজত্বের প্রথম বছরে মাবুদ কাইরাসের দিলে এমন ইচ্ছা দিলেন যার জন্য তিনি তাঁর সমস্ত রাজ্যে মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে এই ঘোষণা দিলেন:
2 “পারস্যের বাদশাহ্ কাইরাস এই কথা বলছেন, ‘বেহেশতের মাবুদ আল্লাহ্ দুনিয়ার সমস্ত রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং এহুদা দেশের জেরুজালেমে তাঁর জন্য একটা ঘর তৈরী করবার জন্য আমাকে নিযুক্ত করেছেন।
3 তাঁর লোকদের মধ্যে, অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে চায় সে এহুদা দেশের জেরুজালেমে গিয়ে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র ঘর তৈরী করুক, কারণ তিনি জেরুজালেমে আছেন। যারা সেখানে যাবে তাদের আল্লাহ্ তাদের সংগে থাকুন।
4 আল্লাহ্র যে সমস্ত লোকেরা এখনও বেঁচে আছে তারা যেখানেই বাস করুক না কেন তাদের মধ্যে যারা জেরুজালেমে যেতে চায় তাদের প্রতিবেশীরা যেন তাদের সোনা-রূপা, জিনিসপত্র ও পশুপাল দিয়ে সাহায্য করে ও জেরুজালেমের আল্লাহ্র ঘরের জন্য নিজের ইচ্ছায় উপহারও দেয়।’ ”
5 এতে এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের বংশ-নেতাদের, ইমামদের ও লেবীয়দের মধ্যে যাঁদের দিলে আল্লাহ্ ইচ্ছা দিলেন তাঁরা প্রত্যেকে জেরুজালেমে মাবুদের ঘর তৈরী করতে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেন।
6 তাঁদের সব প্রতিবেশীরা রূপার পাত্র, সোনা, অন্যান্য জিনিস, পশুপাল ও দামী দামী জিনিস দিয়ে তাদের সাহায্য করল এবং আল্লাহ্র ঘরের জন্য নিজের ইচ্ছায় উপহারও দিল।
7-8 এছাড়া বখতে-নাসার মাবুদের ঘরের যে সব জিনিস জেরুজালেম থেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর দেবতার মন্দিরে রেখেছিলেন বাদশাহ্ কাইরাস সেগুলো ধনভাণ্ডারের রক্ষক মিত্রদাৎকে দিয়ে বের করে আনালেন। মিত্রদাৎ সেগুলো এহুদার শাসনকর্তা শেশ্বসরের কাছে গুণে দিলেন।
9 সেই সব জিনিসের তালিকা এই: ত্রিশটা সোনার গামলা, এক হাজার রূপার গামলা, ঊনত্রিশটা ছুরি,
10 ত্রিশটা সোনার পেয়ালা, ভিন্ন আকারের চারশো দশটা রূপার পেয়ালা এবং এক হাজার অন্যান্য জিনিসপত্র।
11 সেখানে মোট পাঁচ হাজার চারশোটা সোনা ও রূপার জিনিস ছিল। বন্দী অবস্থায় বিদেশে বাসকারী লোকেরা যখন ব্যাবিলন থেকে জেরুজালেমে আসল তখন শেশ্বসর এই সব জিনিস সংগে করে নিয়ে আসলেন।