1 বাদশাহ্ আর্টা-জারেক্সেসের রাজত্বের সময়ে যে সব বংশ-নেতারা আমার সংগে ব্যাবিলন থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁদের তালিকা:
2 পীনহসের বংশের মধ্যে গের্শোম; ঈথামরের বংশের মধ্যে দানিয়াল; দাউদের বংশের মধ্যে শখনিয়ের বংশধর হটূশ;
3 পরোশের বংশের মধ্যে জাকারিয়া এবং তাঁর সংগে তালিকায় নাম লেখা একশো পঞ্চাশ জন;
4 পহৎ-মোয়াবের বংশের মধ্যে সরহিয়ের ছেলে ইলীহৈনয় ও তাঁর সংগেকার দু’শো জন;
5 সত্তূর বংশের মধ্যে যহসীয়েলের ছেলে শখনিয় ও তাঁর সংগেকার তিনশো জন;
6 আদীনের বংশের মধ্যে যোনাথনের ছেলে এবদ ও তাঁর সংগেকার পঞ্চাশজন;
7 ইলামের বংশের মধ্যে অথলিয়ের ছেলে যিশায়াহ ও তাঁর সংগেকার সত্তরজন;
8 শফটিয়ের বংশের মধ্যে মিকাইলের ছেলে সবদিয় ও তাঁর সংগেকার আশিজন;
9 যোয়াবের বংশের মধ্যে যিহিয়েলের ছেলে ওবদিয় ও তাঁর সংগেকার দু’শো আঠারো জন;
10 বানির বংশের মধ্যে যোষিফিয়ের ছেলে শলোমীত ও তাঁর সংগেকার একশো ষাট জন;
11 বেবয়ের বংশের মধ্যে বেবয়ের ছেলে জাকারিয়া ও তাঁর সংগেকার আটাশজন;
12 অস্গদের বংশের মধ্যে হকাটনের ছেলে যোহানন ও তাঁর সংগেকার একশো দশ জন;
13 অদোনীকামের বংশের মধ্যে যাঁরা শেষে ফিরে এসেছিলেন তাঁদের নাম হল ইলীফেলট, যিয়ূয়েল ও শময়িয় আর তাঁদের সংগেকার ষাটজন;
14 বিগ্বয়ের বংশের মধ্যে ঊথয় ও সব্বূদ আর তাঁদের সংগেকার সত্তরজন।
15 অহবার দিকে বয়ে যাওয়া খালের কাছে আমি এই সব লোকদের একত্র করলাম এবং সেই জায়গায় আমরা তাম্বু ফেলে তিন দিন রইলাম। লোকদের ও ইমামদের মধ্যে খোঁজ করে আমি কোন লেবীয়কে দেখতে পেলাম না।
16 তখন আমি ইলীয়েষর, অরীয়েল, শময়িয়, ইল্নাথন, যারিব, ইল্নাথন, নাথন, জাকারিয়া ও মশুল্লম নামে নেতাদের ও যোয়ারীব ও ইল্নাথন নামে দু’জন ওস্তাদকে ডেকে পাঠালাম।
17 এই সব লোকদের আমি কাসিফিয়ায় বাসকারী নেতা ইদ্দো ও তাঁর বংশের বায়তুল-মোকাদ্দসের খেদমতকারীদের কাছে এই কথা বলতে পাঠিয়ে দিলাম, “আপনারা আমাদের আল্লাহ্র ঘরের এবাদত-কাজের জন্য আমাদের কাছে লোক নিয়ে আসুন।”
18 আমাদের আল্লাহ্র মেহেরবানীর হাত আমাদের উপরে ছিল বলে তাঁরা ইসরাইলের ছেলে লেবি-গোষ্ঠীর মহলির বংশের মধ্য থেকে শেরেবিয় নামে একজন দক্ষ লোককে এবং তাঁর ছেলেদের ও ভাইদের মোট আঠারোজনকে আমাদের কাছে নিয়ে আসলেন।
19-20 এছাড়া তারা হশবিয়কে এবং মরারির বংশধরদের মধ্য থেকে যিশায়াহ ও তাঁর ভাইদের ও তাঁর ছেলেদের মোট বিশজনকে এবং বায়তুল-মোকাদ্দসের খেদমতকারীদের মধ্যে দু’শো বিশ জনকে নিয়ে আসলেন। দাউদ ও তাঁর কর্মচারীরা এই খেদমতকারীদের পূর্বপুরুষদের ঠিক করেছিলেন যাতে তারা লেবীয়দের সাহায্য করতে পারেন। এই দু’শো বিশ জনের নাম তালিকায় লেখা হল।
21 পরে আমি অহবার খালের কাছে আমাদের জন্য রোজা রাখবার কথা ঘোষণা করলাম যাতে আমরা আমাদের আল্লাহ্র সামনে নিজেদের নত করতে পারি এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের ও সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে নিরাপদে যাত্রা করতে পারি।
22 পথে আমাদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করবার জন্য বাদশাহ্র কাছে সৈন্য ও ঘোড়সওয়ার চাইতে আমি লজ্জা পেলাম, কারণ আমরা বাদশাহ্কে বলেছিলাম, “যারা আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলে তাদের প্রত্যেকের উপরে তাঁর মেহেরবানীর হাত আছে, কিন্তু যারা তাঁকে ত্যাগ করে তাঁর গজব ও শাস্তি তাদের সকলের উপর নেমে আসে।”
23 কাজেই আমরা রোজা রাখলাম এবং এই বিষয় নিয়ে আমাদের আল্লাহ্র কাছে অনুরোধ জানালাম, আর তিনি আমাদের মুনাজাতের জবাব দিলেন।
24 তারপর আমি বারোজন প্রধান ইমামকে এবং তাঁদের সংগে শেরেবিয়, হশবিয় ও তাঁদের দশজন লেবীয় ভাইকে আলাদা করলাম।
25 আমি তাঁদের কাছে সেই সব সোনা, রূপা ও পাত্রগুলো ওজন করে বের করে দিলাম যা বাদশাহ্ ও তাঁর পরামর্শদাতারা, কর্মচারীরা এবং সেখানে উপস্থিত সব বনি-ইসরাইলরা আমাদের আল্লাহ্র ঘরের জন্য দান করেছিলেন।
26 আমি তাঁদের কাছে ঊনিশ হাজার পাঁচশো কেজি রূপা, তিন হাজার কেজি রূপার পাত্র ও তিন হাজার কেজি সোনা দিলাম।
27 এছাড়া সাড়ে ছয় কেজি ওজনের বিশটা সোনার পাত্র এবং সোনার মত দামী খুব সুন্দর দু’টা পালিশ করা ব্রোঞ্জের পাত্র দিলাম।
28 আমি তাঁদের বললাম, “আপনাদের এবং এই সব পাত্রগুলো মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করা হয়েছে। এছাড়া এই সব সোনা ও রূপা আপনাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে নিজের ইচ্ছায় করা দান।
29 আপনারা যে পর্যন্ত না এগুলো জেরুজালেমে মাবুদের ঘরের ভাণ্ডার-ঘরে প্রধান ইমামদের, লেবীয়দের এবং ইসরাইলের বংশ-নেতাদের সামনে ওজন করে দেন সেই পর্যন্ত তা সাবধানে রক্ষা করবেন।”
30 এর পর ইমামেরা ও লেবীয়রা জেরুজালেমে আমাদের আল্লাহ্র ঘরে নিয়ে যাবার জন্য ওজন করা সোনা, রূপা এবং পাত্র গ্রহণ করলেন।
31 প্রথম মাসের বারো দিনের দিন আমরা জেরুজালেমে যাবার জন্য অহবা খালের কাছ থেকে যাত্রা করলাম। আমাদের আল্লাহ্র হাত আমাদের উপরে ছিল এবং তিনি পথের মধ্যে শত্রু ও ডাকাতের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করলেন।
32 এইভাবে আমরা জেরুজালেমে পৌঁছে তিন দিন সেখানে বিশ্রাম নিলাম।
33 তারপর চতুর্থ দিনের দিন আমরা আমাদের আল্লাহ্র ঘরের মধ্যে সেই সোনা, রূপা ও পাত্রগুলো ওজন করে ইমাম উরিয়ার ছেলে মরেমোতের হাতে দিলাম। মরেমোতের সংগে ছিলেন পীনহসের বংশধর ইলীয়াসর এবং তাঁদের সংগে ছিলেন ইউসার ছেলে যোষাবদ ও বিনুয়ির ছেলে নোয়দিয়। এঁরা দু’জনেই ছিলেন লেবীয়।
34 সমস্ত জিনিসই গুণে আর ওজন করে দেওয়া হল এবং সেই সময় সেগুলোর সংখ্যা আর ওজন লিখে রাখা হল।
35 বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা লোকেরা ইসরাইলের আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী দিল। তারা গোটা ইসরাইল জাতির জন্য বারোটা ষাঁড়, ছিয়ানব্বইটা ভেড়া, সাতাত্তরটা ভেড়ার বাচ্চা এবং গুনাহের জন্য কোরবানীর জন্য বারোটা ছাগল দিল। এই সবই মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী হিসাবে দেওয়া হল।
36 তারা ফোরাত নদীর পশ্চিম পারের প্রদেশগুলোর ও জেলার শাসনকর্তাদের কাছে বাদশাহ্র হুকুম পৌঁছে দিল। সেই হুকুম পেয়ে তাঁরা লোকদের সহযোগিতা করলেন এবং আল্লাহ্র ঘরের কাজেও সহযোগিতা করলেন।