6 স্ত্রীলোকটি তখন তাঁর স্বামীর কাছে গিয়ে বললেন, “আল্লাহ্র একজন বান্দা আমার কাছে এসেছিলেন। আল্লাহ্র ফেরেশতার মতই তাঁর চেহারা, তাঁকে দেখলে খুব ভয় লাগে। তিনি কোথা থেকে এসেছেন তা আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি নি আর তিনিও তাঁর নাম আমাকে বলেন নি।
7 তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি গর্ভবতী হবে এবং তোমার একটি ছেলে হবে। সেইজন্য এখন থেকে তুমি আংগুর-রস কিংবা কোন মদানো রস কিংবা নাপাক কিছু খাবে না, কারণ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছেলেটি আল্লাহ্র উদ্দেশে নাসরীয় হবে।’ ”
8 এই কথা শুনে মানোহ মাবুদের কাছে এই বলে মুনাজাত করলেন, “হে দীন-দুনিয়ার মালিক, তোমার যে বান্দাকে তুমি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলে, আমি মিনতি করি আবার যেন তিনি আসেন এবং যে ছেলেটির জন্ম হবে তার প্রতি আমাদের কি করতে হবে তা আমাদের শিখিয়ে দেন।”
9 আল্লাহ্ মানোহের মুনাজাত শুনলেন এবং আল্লাহ্র ফেরেশতা আবার সেই স্ত্রীলোকটির কাছে আসলেন। তিনি তখন ক্ষেতের মধ্যে বসে ছিলেন, কিন্তু তাঁর স্বামী মানোহ তখন তঁাঁর কাছে ছিলেন না।
10 স্ত্রীলোকটি তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর স্বামীকে বললেন, “সেই দিন যে লোকটি আমাকে দেখা দিয়েছিলেন তিনি এসেছেন।”
11 এই কথা শুনে মানোহ উঠে তাঁর স্ত্রীর সংগে গেলেন এবং লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, “আমার স্ত্রীর সংগে যিনি কথা বলেছিলেন আপনিই কি সেই লোক?”তিনি বললেন, “জ্বী, আমিই সেই লোক।”
12 মানোহ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার কথা যখন সফল হবে তখন কিভাবে ছেলেটি জীবন কাটাবে আর তার কাজই বা কি হবে?”