2 শামাউন সেখানে গেছেন শুনে গাজার লোকেরা জায়গাটা ঘেরাও করে রাখল এবং সারা রাত শহরের সদর দরজার কাছে তাঁর জন্য ওৎ পেতে বসে রইল। রাতের বেলায় তারা চুপচাপ রইল আর বলল, “সকাল হলে পর আমরা তাকে মেরে ফেলব।”
3 কিন্তু শামাউন সেখানে কেবল মাঝরাত পর্যন্ত শুয়ে ছিলেন। তারপর উঠে তিনি হুড়কা সুদ্ধ শহরের সদর দরজার দু’টা খুঁটি ও দরজা উপ্ড়ে ফেললেন। সেগুলো তিনি তাঁর কাঁধের উপর তুলে নিয়ে হেবরনের সামনের পাহাড়ের উপরে গেলেন।
4 পরে সোরেক উপত্যকার একটি স্ত্রীলোকের উপর শামাউনের মন পড়ল। তার নাম ছিল দলীলা।
5 ফিলিস্তিনীদের শাসনকর্তারা সেই স্ত্রীলোকের কাছে গিয়ে বললেন, “তুমি শামাউনের এই মহাশক্তির গোপন কথাটা আর কিভাবে আমরা তাকে ধরে এনে বেঁধে কষ্ট দিতে পারি তা তার কাছ থেকে ফুসলিয়ে জেনে নাও। তাতে আমরা প্রত্যেকে তোমাকে তেরো কেজি দু’শো গ্রাম করে রূপা দেব।
6 এই কথা শুনে দলীলা শামাউনকে বলল, “তোমার এই মহাশক্তির গোপন কথাটা কি, আর কি দিয়ে তোমাকে বেঁধে কষ্ট দেওয়া যায় তা আমাকে বল।”
7 জবাবে শামাউন তাকে বললেন, “ধনুকের না-শুকানো সাতটা নতুন ছিলা দিয়ে যদি কেউ আমাকে বাঁধে তবে আমি অন্য যে কোন লোকের মতই দুর্বল হয়ে পড়ব।”
8 ফিলিস্তিনীদের শাসনকর্তারা তখন দলীলাকে সেই রকম সাতটা নতুন ছিলা দিলেন। সে তা দিয়ে শামাউনকে বাঁধল।