15 বনি-ইসরাইলরা যখন যুদ্ধে যেত তখন মাবুদ কসম খেয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন সেই অনুসারে তাঁর হাত তাদের ক্ষতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে থাকত, তাই তারা মহা বিপদের মধ্যে ছিল।
16 তখন মাবুদ তাদের মধ্যে শাসনকর্তা দাঁড় করাতেন। তাঁরা লুটকারীদের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের রক্ষা করতেন,
17 কিন্তু তবুও বনি-ইসরাইলরা এই শাসনকর্তাদের কথায় কান দিত না। মাবুদের প্রতি বেঈমানী করে তারা দেব-দেবীদের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিত এবং তাদের পূজা করত। তাদের পূর্বপুরুষেরা মাবুদের হুকুম পালন করে যে বাধ্যতার পথে চলতেন তারা সেই পথে না চলে অল্পকালের মধ্যেই সেই পথ থেকে সরে যেত।
18 মাবুদ যখনই তাদের জন্য কোন শাসনকর্তা নিযুক্ত করতেন তখন তিনি তাঁর সংগে থাকতেন। সেই শাসনকর্তা যতদিন বেঁচে থাকতেন ততদিন পর্যন্ত মাবুদ শত্রুদের হাত থেকে বনি-ইসরাইলদের রক্ষা করতেন। অত্যাচারীদের হাতে যন্ত্রণা ও কষ্ট পেয়ে তারা যখন কান্নাকাটি করত তখন তাদের উপর মাবুদের দয়া হত।
19 কিন্তু সেই শাসনকর্তা মারা গেলে লোকেরা আবার দেব-দেবীর দিকে ঝুঁকে পড়ত এবং তাদের সেবা ও পূজা করে তাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে আরও জঘন্য পথে ফিরে যেত। তারা কিছুতেই তাদের খারাপ অভ্যাস আর একগুঁয়েমির পথ ছাড়ত না।
20 সেইজন্য মাবুদ বনি-ইসরাইলদের উপর রাগে জ্বলে উঠে বললেন, “এই জাতির পূর্বপুরুষদের সময় আমি যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলাম তা এরা পালন করে নি এবং আমার কথাও শোনে নি।
21 সেইজন্য ইউসা মারা যাবার সময়ে যে সব জাতি দেশে রয়ে গেছে তাদের আমি বনি-ইসরাইলদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব না।