27-28 সেই সময়ে আল্লাহ্র সাক্ষ্য-সিন্দুক বেথেলেই ছিল, আর হারুনের নাতি, অর্থাৎ ইলিয়াসরের ছেলে পীনহস তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ইমামের কাজ করতেন। সেইজন্য বনি-ইসরাইলরা সেখানে মাবুদের ইচ্ছা জানবার জন্য জিজ্ঞাসা করল, “আমরা আমাদের ভাই বিন্যামীন-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে যাব কি যাব না?”মাবুদ জবাব দিলেন, “যাও, কারণ কালকে আমি তোমাদের হাতে তাদের তুলে দিতে যাচ্ছি।”
29 তখন বনি-ইসরাইলরা গিবিয়ার চারপাশে সৈন্যদের লুকিয়ে রাখল।
30 তৃতীয় দিনে বাকী সৈন্যেরা বিন্ইয়ামীনীয়দের সংগে যুদ্ধের জন্য আগের মত করেই গিবিয়ার কাছে সৈন্য সাজাল।
31 বনি-ইসরাইলদের বাধা দেবার জন্য বিন্ইয়ামীনীয়রা বেরিয়ে এসে শহর থেকে দূরে গেল। তারা আগের মতই বনি-ইসরাইলদের হত্যা করতে লাগল। তাতে মাঠের উপর এবং যে রাস্তা দু’টার একটা বেথেলের দিকে এবং অন্যটা গিবিয়ার দিকে চলে গেছে তার উপর প্রায় ত্রিশজন লোক মারা পড়ল।
32 এতে বিন্ইয়ামীনীয়রা বলতে লাগল, “আমরা ওদের আগের মতই হারিয়ে দিচ্ছি,” আর বনি-ইসরাইলরা বলল, “এস, আমরা পিছু হটে গিয়ে শহরের কাছ থেকে ওদের সরিয়ে রাস্তার উপর নিয়ে যাই।”
33 তারপর ইসরাইলীয় সৈন্যেরা তাদের জায়গা থেকে সরে গিয়ে বাল-তামরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল। এদিকে বনি-ইসরাইলদের লুকিয়ে থাকা সৈন্যেরা তাদের জায়গা, অর্থাৎ মারে-গেবা ছেড়ে বেরিয়ে আসল।
34 তখন বনি-ইসরাইলদের দশ হাজার বাছাই করা লোক গিবিয়ার সামনের দিকে হামলা চালাল, আর তাতে ভীষণভাবে যুদ্ধ চলতে লাগল; কিন্তু বিন্ইয়ামীনীয়রা বুঝতে পারল না যে, তারা প্রায় সর্বনাশের মুখে এসে পড়েছে।