12-13 যখন সীষরা এই খবর পেলেন যে, অবীনোয়মের ছেলে বারক তাবোর পাহাড়ে উঠে গেছে তখন তিনি তাঁর ন’শো লোহার রথ আর তাঁর সমস্ত লোকদের জমায়েত করে নিয়ে হরোশৎ-হগোয়িম থেকে কীশোন নদীর ধারে গেলেন।
14 তখন দবোরা বারককে বললেন, “আপনি এগিয়ে যান, মাবুদ আজকেই সীষরাকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। মাবুদ তো আপনার আগে আগে গেছেন।” তখন বারক তাবোর পাহাড় থেকে নীচে নেমে গেলেন আর তাঁর পিছনে পিছনে দশ হাজার লোক গেল।
15 বারক যখন হামলা করলেন তখন তাঁর সামনে মাবুদ সীষরা ও তাঁর সমস্ত রথ ও সৈন্য-সামন্তকে বিশৃঙ্খল করে দিলেন। তখন সীষরা তাঁর রথ ফেলে পালিয়ে গেলেন।
16 বারক কিন্তু হরোশৎ-হগোয়িম পর্যন্ত তাদের রথ এবং সৈন্যদলের পিছনে তাড়া করে গেলেন। সীষরার সমস্ত সৈন্যদের হত্যা করা হল, একজনও বাকী রইল না।
17 সীষরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে কেনীয় হেবরের স্ত্রী যায়েলের তাম্বুতে গিয়ে উঠলেন, কারণ হাৎসোরের বাদশাহ্ যাবীন এবং কেনীয় হেবরের বংশের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল।
18 সীষরাকে ডেকে আনবার জন্য যায়েল তাম্বু থেকে বের হয়ে তাঁকে বলল, “হে আমার প্রভু, আসুন, ভিতরে আসুন; আপনি ভয় পাবেন না।” কাজেই সীষরা তার তাম্বুতে ঢুকলেন আর যায়েল তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখল।
19 সীষরা বললেন, “আমার পিপাসা পেয়েছে, আমাকে একটু পানি দাও।” যায়েল দুধ রাখবার চামড়ার থলি খুলে তাঁকে দুধ খেতে দিল ও তারপর আবার তাঁকে ঢেকে রাখল।