31 কিন্তু যে সব লোক তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল যোয়াশ তাদের বললেন, “তোমরা কি বাল-দেবতার পক্ষে ওকালতি করতে এসেছ? তাকে রক্ষা করবার চেষ্টা করছ? যে তার পক্ষ নেবে তাকে কাল সকাল হবার আগেই মেরে ফেলা হবে। বাল যদি সত্যিই কোন দেবতা হয়ে থাকে তবে সে নিজের পক্ষে ওকালতি করুক, কারণ তারই কোরবানগাহ্ ভেংগে ফেলা হয়েছে।”
32 সেই দিন তিনি গিদিয়োনের নাম দিলেন যিরুব্বাল (যার মানে “বাল-দেবতা ওকালতি করুক”)। গিদিয়োন বাল-দেবতার কোরবানগাহ্ ভেংগে ফেলেছেন বলে যোয়াশ বললেন, “গিদিয়োনের বিরুদ্ধে বাল-দেবতাই তার নিজের পক্ষে ওকালতি করুক।”
33 পরে মাদিয়ানীয়, আমালেকীয় এবং পূর্ব দেশের সৈন্য-সামন্ত সব এক হয়ে জর্ডান নদী পেরিয়ে যিষ্রিয়েল-উপত্যকায় গিয়ে ছাউনি ফেলল।
34 তখন মাবুদের রূহ্ গিদিয়োনকে শক্তিশালী করলেন। গিদিয়োন শিংগা বাজালেন আর অবীয়েষ্রীয়রা তাঁর পিছনে জমায়েত হল।
35 তিনি মানশা-গোষ্ঠীর এলাকার লোকদের কাছে খবর পাঠালেন আর তারাও তাঁর পিছনে জমায়েত হল। আশের, সবূলূন ও নপ্তালি-গোষ্ঠীর কাছেও তিনি খবর পাঠালেন আর তাতে তারা তাদের সংগে যোগ দেবার জন্য এগিয়ে আসল।
36-37 তখন গিদিয়োন আল্লাহ্কে বললেন, “দেখুন, আমি খামারে ভেড়ার লোম রাখছি। আপনার ওয়াদা অনুসারে যদি আপনি আমার হাত দিয়েই বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করবেন বলে ঠিক করে থাকেন তবে যেন কেবল সেই লোমের উপরেই শিশির পড়ে আর বাকী সব জায়গা শুকনা থাকে। তাহলে আমি বুঝব যে, আপনি যেমন বলেছেন তেমনি করে আমার হাত দিয়েই আপনি বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করবেন।”
38 আর তা-ই ঘটল; পরের দিন গিদিয়োন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই ভেড়ার লোম নিংড়ে শিশির বের করে ফেললেন। তাতে এক বাটি পানি হল।