14 এর জবাবে তার বন্ধু বলল, “এটা ইসরাইলীয় যোয়াশের ছেলে গিদিয়োনের তলোয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ্ মাদিয়ানীয়দের এবং তাদের গোটা ছাউনিটা গিদিয়োনের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
15 গিদিয়োন সেই স্বপ্নের কথা ও তার মানে শুনে সেজদায় পড়ে আল্লাহর এবাদত করলেন। তিনি বনি-ইসরাইলদের ছাউনিতে ফিরে এসে জোরে হাঁক দিয়ে বললেন, “তোমরা ওঠ, আল্লাহ্ মাদিয়ানীয়দের ছাউনিটা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
16 সেই তিনশো লোককে তিনি তিনটা দলে ভাগ করলেন আর প্রত্যেকের হাতে একটা করে শিংগা, একটা করে খালি কলসী ও তার মধ্যে মশাল দিলেন।
17 তারপর তিনি তাদের বললেন, “তোমরা আমার উপর লক্ষ্য রাখবে এবং আমি যা করি তোমরাও তা-ই করবে। ছাউনির কাছে পৌঁছে আমি যা করব তোমরা ঠিক তা-ই করবে।
18 আমি ও আমার সংগের সবাই যখন শিংগা বাজাব তখন ছাউনির চারপাশ থেকে তোমরাও তোমাদের শিংগা বাজাবে এবং চিৎকার করে বলবে, ‘মাবুদ এবং গিদিয়োনের জন্য।’ ”
19 মাঝরাতের পাহারার শুরুতে যখন মাদিয়ানীয়রা পাহারাদার বদল করছিল ঠিক তার পরেই গিদিয়োন ও তাঁর সংগের একশো লোক ছাউনির কাছে গিয়ে পৌঁছাল। তারা তাদের শিংগা বাজিয়ে হাতের কলসীগুলো ভেংগে ফেলল।
20 তিনটা দলই একসংগে তা করল। বাঁ হাতে মশাল আর ডান হাতে বাজাবার জন্য শিংগা নিয়ে তারা চিৎকার করে বলে উঠল, “মাবুদ ও গিদিয়োনের তলোয়ার।”