1 দারিয়ুসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে মাবুদের কালাম নবী জাকারিয়ার উপর নাজেল হল। জাকারিয়া ছিলেন বেরিখিয়ের ছেলে আর বেরিখিয় ইদ্দোর ছেলে।
2 মাবুদ জাকারিয়াকে বললেন, “তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর আমি খুবই রাগ করেছিলাম।
3 সেইজন্য তুমি লোকদের বল যে, আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছি, ‘তোমরা আমার দিকে ফেরো, তাতে আমিও তোমাদের দিকে ফিরব।
4 তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত হোয়ো না। তাদের কাছে আগেকার নবীরা আমার এই কথা ঘোষণা করেছিল যে, তারা যেন তাদের খারাপ পথ ও খারাপ অভ্যাস থেকে ফেরে। কিন্তু তারা তা শোনে নি এবং আমার কথায় মনোযোগও দেয় নি।
5 তোমাদের সেই পূর্বপুরুষেরা এখন কোথায়? আর নবীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
6 কিন্তু আমি আমার গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের যে সব হুকুম দিয়েছিলাম, আমার সেই সব কালাম ও নিয়ম অনুসারে কি তোমাদের পূর্বপুরুষেরা শাস্তি পায় নি? তখন তারা মন ফিরিয়ে বলেছিল যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের আচার-ব্যবহার ও অভ্যাস অনুসারে তাদের প্রতি যা করবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি তা-ই করেছেন।’ ”
7 দারিয়ুসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাসের, অর্থাৎ শবাট মাসের চব্বিশ দিনের দিন বেরিখিয়ের ছেলে নবী জাকারিয়ার উপর মাবুদের কালাম নাজেল হল।
8 রাতের বেলায় আমি জাকারিয়া একটা দর্শন পেলাম। আমি দেখলাম, মানুষের মত দেখতে একজন ফেরেশতা লাল ঘোড়ার উপরে চড়ে আছেন। ঘোড়াটা একটা খাদের ভিতরে গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটির পিছনে আছে লাল, মেটে ও সাদা রংয়ের কতগুলো ঘোড়া।
9 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে হুজুর, এগুলো কি?” আর একজন ফেরেশতা যিনি আমার সংগে কথা বলছিলেন জবাবে তিনি বললেন, “ওগুলো কি তা আমি তোমাকে দেখাব।”
10 যিনি গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সারা দুনিয়াতে ঘুরে দেখবার জন্য মাবুদ এগুলোকে পাঠিয়েছেন।”
11 মাবুদের যে ফেরেশতা গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে ঘোড়সওয়ারেরা বলল, “আমরা সারা দুনিয়াতে ঘুরে দেখলাম যে, গোটা দুনিয়াটা নির্ভয়ে ও শান্তিতে রয়েছে।”
12 তখন মাবুদের ফেরেশতা বললেন, “হে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, তুমি জেরুজালেম ও এহুদার অন্যান্য শহরগুলোর উপর এই যে সত্তর বছর রাগ করে রয়েছ তাদের উপর আর কতকাল তুমি মমতা না করে থাকবে?”
13 তখন যে ফেরেশতা আমার সংগে কথা বলছিলেন মাবুদ তাঁকে অনেক মমতার ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
14 সেইজন্য সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “তুমি এই কথা ঘোষণা কর যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, ‘জেরুজালেমের জন্য, অর্থাৎ সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব জ্বালা বোধ করছি।
15 আমি নিশ্চিন্তে থাকা সেই সব জাতির উপরে ভীষণ রাগ করেছি, কারণ আমি যখন আমার বান্দাদের উপর কেবল একটুখানি রাগ করেছিলাম তখন সেই সব জাতি আমার বান্দাদের দুর্দশার সংগে আরও দুর্দশা যোগ করেছিল।
16 সেইজন্য আমি জেরুজালেমকে মমতা করবার জন্য ফিরে আসব। সেখানে আমার ঘর আবার তৈরী হবে এবং জেরুজালেম শহরকে মেপে আবার গড়ে তোলা হবে।
17 আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এই ওয়াদা করছি যে, আমার শহরগুলোতে আবার উন্নতি উপ্চে পড়বে আর আমি আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা দেব এবং আবার জেরুজালেমকে বেছে নেব।’ ”
18 তারপর আমি চোখ তুলে চারটা শিং দেখতে পেলাম।
19 যে ফেরেশতা আমার সংগে কথা বলছিলেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলো কি?”জবাবে তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো সেই শিং যা এহুদা, ইসরাইল ও জেরুজালেমের লোকদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছে।”
20 মাবুদ তারপর আমাকে চারজন মিস্ত্রীকে দেখালেন।
21 আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কি করতে এসেছে?”জবাবে তিনি বললেন, “সেই শিংগুলো হল সেই সব জাতির শক্তি যারা এহুদার লোকদের এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে যে, তারা কেউই মাথা তুলতে পারে নি। সেই সব জাতিকে ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শক্তি ধ্বংস করবার জন্য এই মিস্ত্রীরা এসেছে।”