1 আমি আবার তাকিয়ে চারটা রথ দেখতে পেলাম। সেগুলো দু’টা পাহাড়ের মাঝখান থেকে বের হয়ে আসছিল। সেই পাহাড় দু’টা ছিল ব্রোঞ্জের।
2 প্রথম রথে ছিল সব লাল রংয়ের ঘোড়া, দ্বিতীয়টাতে ছিল সব কালো রংয়ের ঘোড়া,
3 তৃতীয়টাতে ছিল সব সাদা রংয়ের ঘোড়া এবং চতুর্থটাতে ছিল সব নানা রংয়ের ছাপের ঘোড়া; সব ঘোড়াই ছিল শক্তিশালী।
4 আমি সেই ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে হুজুর, এগুলো কি?”
5 জবাবে তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো আসমানের চারটি বায়ু; সমস্ত দুনিয়ার মালিকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবার পরে এগুলো বের হয়ে আসছে।
6 কালো ঘোড়ার রথটা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে, সাদা ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে পশ্চিম দিকে এবং নানা রংয়ের ছাপের ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে দক্ষিণ দিকে।”
7 শক্তিশালী ঘোড়াগুলো বের হয়ে সারা দুনিয়া ঘুরে দেখবার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিল। তখন সেই ফেরেশতা বললেন, “দুনিয়ার সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখ।” কাজেই তারা দুনিয়ার সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখতে গেল।
8 তারপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, “দেখ, যারা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে তারা আমার রাগ শান্ত করেছে।”
9 পরে মাবুদ আমাকে বললেন,
10 “ব্যাবিলনের বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা হিল্দয়, টোবিয় ও যিদায়ের কাছ থেকে তুমি সোনা ও রূপা নাও। একই দিনে তুমি সফনিয়ের ছেলে ইউসিয়ার বাড়ীতে যাও।
11 তারপর তুমি সেই সোনা ও রূপা দিয়ে একটা তাজ তৈরী কর এবং সেটা যিহোষাদকের ছেলে মহা-ইমাম ইউসার মাথায় পরিয়ে দাও।
12 তাকে বল যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, ‘এই সেই লোক, যার নাম চারাগাছ; সে নিজের জায়গায় থেকে বেড়ে উঠবে এবং মাবুদের ঘর তৈরী করবে।
13 জ্বী, সে-ই মাবুদের ঘর তৈরী করবে। তাকে বাদশাহ্র সম্মান দেওয়া হবে আর সে তার সিংহাসনে বসে শাসন করবে। সে একজন ইমাম হিসাবে সিংহাসনে বসবে এবং তাতে এই দুই পদের মধ্যে কোন অমিল থাকবে না।’
14 হেলেম, অর্থাৎ হিল্দয়, টোবিয়, যিদায় ও সফনিয়ের ছেলে হেনকে, অর্থাৎ ইউসিয়াকে স্মরণ রাখবার চিহ্ন হিসাবে সেই তাজ মাবুদের ঘরের মধ্যে থাকবে।
15 “যারা দূরে আছে তারা এসে মাবুদের ঘর তৈরীর কাজে সাহায্য করবে। তখন তোমরা জানতে পারবে যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। যদি তোমরা যত্নের সংগে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কালাম পালন কর তবেই এই সব হবে।”