1 মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,
2 “তোমরা বনি-ইসরাইলদের জানিয়ে দাও, কোন লোকের পুরুষাংগের যে কোন রকমের অস্বাভাবিক স্রাব নাপাক।
3 এই স্রাব পুরুষকে এমন এক নাপাক অবস্থায় ফেলবে যে, তা চলতেই থাকুক বা আট্কে থাকুক সে নাপাক থাকবেই।
4 এই অবস্থায় সে যে বিছানায় শোবে বা যে আসনে বসবে তা নাপাক হয়ে যাবে।
5 যে লোকের স্রাব হচ্ছে তার বিছানা যে ছোঁবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
6 যে তার বসা কোন আসনে বসবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
7 যে লোকের স্রাব হচ্ছে সেই লোককে যে ছোঁবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
8 যে লোকের স্রাব হচ্ছে সে যদি কোন পাক-সাফ লোকের গায়ে থুথু ফেলে তবে সেই পাক-সাফ লোকটিকে কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
9 যে লোকের স্রাব হচ্ছে সে কিছুতে চড়ে কোথাও যাবার সময়ে যে আসনের উপর বসবে তা নাপাক হয়ে যাবে।
10 তার বসা কোন আসন যদি কেউ ছোঁয় তবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। সেই আসন যে তুলবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
11 যে লোকের স্রাব হচ্ছে সে যদি পানিতে হাত না ধুয়ে কাউকে ছোঁয় তবে সেই লোকটিকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
12 যে লোকের স্রাব হচ্ছে সে যদি কোন মাটির পাত্র ছোঁয় তবে তা ভেংগে ফেলতে হবে, আর কাঠের পাত্র হলে তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
13 “যখন কোন লোকের স্রাব থেমে যাবে তখন থেকে পাক-সাফ হবার জন্য সাত দিন গুণে সপ্তম দিনে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে স্রোতের পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে আর তখন সে পাক-সাফ হবে।
14 আট দিনের দিন তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে মাবুদের সামনে আসতে হবে এবং তা ইমামের কাছে দিতে হবে।
15 ইমাম সেই দু’টার একটা দিয়ে গুনাহের কোরবানীর এবং অন্যটা দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দেবে। স্রাবের দরুন লোকটির যে নাপাক অবস্থা হয়েছিল তার জন্য ইমাম এইভাবে মাবুদের সামনে তার নাপাকী ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে।
16 “কোন পুরুষের বীর্যপাত হলে তাকে পানি দিয়ে তার গোটা শরীরটা ধুয়ে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
17 কোন কাপড় বা চামড়ার জিনিসে বীর্য লাগলে সেটা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটা নাপাক থাকবে।
18 কোন পুরুষ যখন কোন স্ত্রীলোককে নিয়ে শোয় তখন বীর্যপাত হলে দু’জনকেই পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
19 “স্ত্রীলোকের নিয়মিত মাসিকের রক্তের দরুন নাপাক অবস্থা সাত দিন ধরে চলবে। এই সময় যে তাকে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
20 এই সময়ের মধ্যে সে যেটার উপর শোবে বা বসবে তা সবই নাপাক হবে।
21 যে তার বিছানা ছোঁবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
22 সেই স্ত্রীলোক যার উপর বসেছে তা যদি কেউ ছোঁয়, তবে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে তাকে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
23 তার বিছানা বা আসন যে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
24 যদি কোন পুরুষ এই রকম স্ত্রীলোককে নিয়ে শোয় এবং তার মাসিকের রক্ত তার গায়ে লাগে তবে সে সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সাত দিনের মধ্যে সে যে বিছানায় শোবে তা-ও নাপাক হবে।
25 “মাসিক ছাড়াও যদি কোন স্ত্রীলোকের অনেক দিন ধরে রক্তস্রাব হতে থাকে কিংবা মাসিকের নিয়মিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও যদি তার স্রাব হতে থাকে তবে যতদিন ধরে তা চলবে ততদিন পর্যন্ত সে তার মাসিকের সময়ের মতই নাপাক অবস্থায় থাকবে।
26 মাসিকের সময়ে যেমন হয় তেমনি এই স্রাবের সময়েও সে যে বিছানায় শোবে এবং যার উপর বসবে তা নাপাক হবে।
27 যে সেই বিছানা বা আসন ছোঁবে সে-ও নাপাক হবে; তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
28 তার সেই রক্তস্রাব থেমে যাবার পরেও তাকে গুণে সাতটা দিন কাটাতে হবে এবং ঐ দিনেই সে পাক-সাফ হবে।
29 আট দিনের দিন তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে ইমামের কাছে যেতে হবে।
30 ইমাম সেই দু’টার একটা দিয়ে গুনাহের কোরবানীর এবং অন্যটা দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দেবে। এইভাবে ইমাম মাবুদের সামনে তার রক্তস্রাবের নাপাকী ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে।”
31 শেষে মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, “বনি-ইসরাইলদের মধ্যে আমার আবাস-তাম্বু রয়েছে। তোমরা সমস্ত নাপাকী থেকে তাদের দূরে রাখবে যাতে তারা আবাস-তাম্বুটা নাপাক করে তাদের নাপাকীর মধ্যে মারা না পড়ে।”
32-33 পুরুষাংগের স্রাব, বীর্যপাত, স্ত্রীলোকের রক্তস্রাব, পুরুষ বা স্ত্রীলোকের শরীরের কোন স্রাব এবং নাপাক স্ত্রীলোকের সংগে সহবাস করা- এগুলোর যে কোন একটা কারণে কেউ নাপাক হলে তার জন্য এই হল নিয়ম।