লেবীয় 27 MBCL

মাবুদকে দেওয়া জিনিস সম্বন্ধে নিয়ম

1-3 এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি বনি-ইসরাইলদের বল, যদি কেউ কোন বিশেষ মানত পূরণের জন্য নিজেকে কিংবা অন্য কোন লোককে মাবুদের কাছে কোরবানী করে, তবে সেই কোরবানীর বদলে যে মূল্য দিতে হবে তা এই: বিশ থেকে ষাট বছর বয়সের পুরুষের জন্য ধর্মীয় মাপ অনুসারে আধা কেজি রূপা,

4 ঐ বয়সের স্ত্রীলোকের জন্য তিনশো গ্রাম রূপা;

5 পাঁচ থেকে বিশ বছর বয়সের ছেলের জন্য দু’শো গ্রাম রূপা, ঐ বয়সের মেয়ের জন্য একশো গ্রাম রূপা;

6 এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের ছেলের জন্য পঞ্চাশ গ্রাম রূপা, ঐ বয়সের মেয়ের জন্য ত্রিশ গ্রাম রূপা;

7 ষাট বছর বা তার বেশী বয়সের পুরুষের জন্য দেড়শো গ্রাম রূপা, ঐ বয়সের স্ত্রীলোকের জন্য একশো গ্রাম রূপা।

8 “মানতকারী যদি গরীব হয় আর এই নির্দিষ্ট করা মূল্য দিতে না পারে তবে তাকে কোরবানী করবার লোকটিকে নিয়ে ইমামের কাছে যেতে হবে। ইমাম তখন মানতকারীর দেবার ক্ষমতা বুঝে তার মূল্য ঠিক করে দেবে।

9 “সে যদি মাবুদের গ্রহণযোগ্য কোরবানীর কোন পশু মানত করে থাকে তবে মাবুদকে দেওয়া সেই পশুটা পবিত্র বলে ধরতে হবে।

10 সেই পশুটার বদলে অন্য পশু সে দিতে পারবে না। সেটা ভাল হলে তার বদলে খারাপটা কিংবা খারাপ হলে তার বদলে ভালটা দেওয়া চলবে না। যদি সে একটা পশুর বদলে অন্য একটা পশু দেয় তবে দু’টা পশুই পবিত্র বলে ধরা হবে।

11 মাবুদের গ্রহণযোগ্য কোরবানী নয় এমন কোন নাপাক পশু যদি কেউ মানত করে তবে পশুটাকে ইমামের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

12 পশুটা কি অবস্থায় আছে ইমাম তা বিচার করে তার যে দাম ঠিক করে দেবে সেটাই হবে তার দাম।

13 মানতকারী যদি সেটা ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে সেই পশুর দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে।

14 “যদি কেউ তার বাড়ীটা মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র বলে কোরবানী করে তবে ইমাম বাড়ীটার অবস্থা বিচার করে তার যে দাম ঠিক করে দেবে সেটাই হবে তার দাম।

15 পবিত্র করা বাড়ীটা যদি সে ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে বাড়ীটার দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে। তারপর বাড়ীটা আবার তার হয়ে যাবে।

16 “কেউ যদি তার পরিবারের সম্পত্তির একটা অংশ মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করে রাখে তবে সেই জমিতে যতটা বীজ বোনা যায় সেই অনুসারে তার দাম ধরতে হবে। প্রতি একশো আশি কেজি যবের বীজের জন্য আধা কেজি করে রূপা ধরতে হবে।

17 ফিরে পাওয়ার বছরে যদি সে তার জমি পবিত্র করে তবে ইমাম এই নিয়মে যে দাম ঠিক করে দেবে জমিটার দাম তা-ই থাকবে।

18 কিন্তু ফিরে পাওয়ার বছরের পরে যদি সে তার জমি পবিত্র করে তবে তার পরের ফিরে পাওয়ার বছর আসতে যত বছর বাকী থাকবে সেটা হিসাব করে ইমাম তার দাম ঠিক করবে। তাতে ঐ নিয়মে ঠিক করা পুরো দামের চেয়ে এই দাম কম হবে।

19 কোন জমি-উৎসর্গদাতা যদি তার জমি ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে সেই জমির ঠিক করা দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে। এর পর জমিটা আবার তার হয়ে যাবে।

20 কিন্তু যদি সে জমিটা ছাড়িয়ে না নেয় কিংবা আর কারও কাছে বিক্রি করে দেয় তবে সেটা আর ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে না।

21 ফিরে পাওয়ার বছরে যখন জমিটা খালাস হবে তখন সেটা মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন জমির মতই মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র হয়ে যাবে। তখন সেটা হবে ইমামের সম্পত্তি।

22 নিজের পরিবারের জমির কোন অংশ নয় এমন কোন কিনে নেওয়া জমি যদি কেউ মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করে,

23 তবে ইমাম ফিরে পাওয়ার বছর পর্যন্ত হিসাব করে তার দাম ঠিক করে দেবে। সেই দিনই সেই জমির দাম তাকে মাবুদের উদ্দেশে পবিত্র জিনিস হিসাবে দিয়ে দিতে হবে।

24 জমিটা সে যার কাছ থেকে কিনবে ফিরে পাওয়ার বছরে তা আবার তার কাছে, অর্থাৎ জমির আগের মালিকের কাছে চলে যাবে।

25 সব কিছুর দাম ধর্মীয় শেখেলের ওজন অনুসারেই ঠিক করতে হবে। দশ গ্রামে একটা ধর্মীয় শেখেল হয়।

26 “কোন পশুর প্রথম পুরুষ বাচ্চা কেউ মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র করতে পারবে না, কারণ সব পশুর প্রথম বাচ্চাই মাবুদের। বাচ্চাটা গরুরই হোক বা ভেড়ারই হোক সেটা মাবুদের।

27 যদি সেটা কোন নাপাক পশুর প্রথম বাচ্চা হয় তবে ইমামের ঠিক করে দেওয়া দামের সংগে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিয়ে সেটা সে ছাড়িয়ে নিতে পারবে। যদি সে সেটা ছাড়িয়ে না নেয় তবে সেই ঠিক করে দেওয়া দামেই সেটা বিক্রি করে দিতে হবে।

28 “কিন্তু যদি কেউ তার নিজের কোন কিছু মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করে তবে সে সেটা আর বিক্রি করতে বা ছাড়িয়ে নিতে পারবে না- সেটা পরিবারের জমিই হোক অথবা মানুষ কিংবা পশুই হোক। এই রকম ভাবে যা কিছু ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করা হয় তা সবই মাবুদের উদ্দেশে মহাপবিত্র জিনিস বলে ধরতে হবে।

29 যদি কোন লোককে মাবুদের উদ্দেশ্যে ধ্বংসের বদদোয়ার অধীন বলে ঘোষণা করা হয় তবে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া চলবে না, তাকে হত্যা করতে হবে।

30 “জমি থেকে যা পাওয়া যাবে তার দশ ভাগের এক ভাগ মাবুদের- তা জমির ফসলই হোক কিংবা গাছের ফলই হোক। তা মাবুদের উদ্দেশ্যে পবিত্র।

31 কেউ যদি তার সেই দশ ভাগের এক ভাগ ছাড়িয়ে নিতে চায় তবে তার দামের সংগে তাকে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম বেশী দিতে হবে।

32 প্রত্যেকের পশুপালের দশ ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ রাখালের লাঠির নীচ দিয়ে চলে যাওয়া প্রতিটি দশম পশু হবে মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র।

33 এই দশম পশুগুলো ভাল কি খারাপ তা দেখা চলবে না কিংবা একটার বদলে অন্য একটা দেওয়া চলবে না। যদি কেউ তা করে তবে সেই দশম পশুটা এবং তার বদলে যে পশুটা সে দেবে সেটাও মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র হয়ে যাবে এবং তা আর ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে না।”

34 মাবুদ বনি-ইসরাইলদের জন্য এই সব হুকুম তুর পাহাড়ে মূসার কাছে দিয়েছিলেন।

অধ্যায়

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27