5 বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কি হয়েছে?”সে বলল, “আমি সত্যি কথা বলছি যে, আমার স্বামী মারা গেছেন, আমি বিধবা।
6 আপনার এই বাঁদীর দু’টি ছেলে ছিল। তারা একদিন মাঠে মারামারি করছিল আর সেখানে এমন কেউ ছিল না যে তাদের ছাড়িয়ে দেয়। তাই তাদের একজন অন্যজনকে মেরে ফেলল।
7 এখন আমার স্বামীর বংশের সবাই আপনার এই বাঁদীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে আর বলছে, ‘ভাইকে যে ভাই মেরে ফেলেছে তাকে আমাদের হাতে তুলে দাও। তার ভাইয়ের প্রাণের বদলে আমরা তার প্রাণ নেব। তাহলে সম্পত্তির অধিকারী বলতে আর কেউ থাকবে না।’ তারা আমার একমাত্র জ্বলন্ত কয়লাটাকে নিভিয়ে ফেলতে চাইছে। তাহলে দুনিয়াতে আমার স্বামীর নামও থাকবে না এবং তাঁর বংশও থাকবে না।”
8 বাদশাহ্ স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “তুমি বাড়ী যাও। আমি তোমার বিষয়ে একটা ব্যবস্থা করব।”
9 তখন তকোয়ের স্ত্রীলোকটি বাদশাহ্কে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ, বাদশাহ্ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ থাকুক; সব দোষ গিয়ে পড়ুক আমার ও আমার পিতার পরিবারের উপর।”
10 বাদশাহ্ বললেন, “যদি কেউ তোমাকে কিছু বলে থাকে তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে; তাহলে সে তোমাকে আর কষ্ট দেবে না।”
11 স্ত্রীলোকটি বলল, “মহারাজ তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র নামে কসম খান যেন রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী আর সর্বনাশ না করে। তা না হলে সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে।”বাদশাহ্ বললেন, “আল্লাহ্র কসম, তোমার ছেলের একটা চুলও মাটিতে পড়বে না।”