19 বাদশাহ্ তখন গাতীয় ইত্তয়কে বললেন, “আমাদের সংগে কেন তুমি যাচ্ছ? তুমি ফিরে গিয়ে বাদশাহ্ অবশালোমের সংগে থাক। তুমি তো বিদেশী; তোমার নিজের দেশ থেকে তুমি বের হয়ে এসেছ।
20 তুমি তো মাত্র সেদিন এসেছ। আর আজকেই কি তোমাকে আমাদের সংগে ঘুরে বেড়াবার জন্য আমার নেওয়া উচিত? আমি নিজেই জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি। তুমি ফিরে যাও আর তোমার দেশের লোকদেরও সংগে নিয়ে যাও। অটল মহব্বত ও বিশ্বস্ততা তোমাদের সংগী হোক।”
21 কিন্তু জবাবে ইত্তয় বাদশাহ্কে বলল, “আল্লাহ্র কসম এবং আমার প্রভু মহারাজের প্রাণের কসম, আমার প্রভু মহারাজ যেখানে থাকবেন সেখানে আপনার গোলাম আমিও থাকব, তাতে আমি বেঁচেই থাকি বা মারাই পড়ি।”
22 এই কথা শুনে দাউদ ইত্তয়কে বললেন, “তবে এগিয়ে যাও।” তখন গাতীয় ইত্তয় তার সমস্ত লোক ও তার সংগের সমস্ত পরিবার নিয়ে এগিয়ে চলল।
23 দাউদের সমস্ত লোক যখন চলে যাচ্ছিল তখন দেশের সব লোক জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। বাদশাহ্ ও তাঁর সমস্ত লোক কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়ে মরুভূমির দিকে এগিয়ে গেলেন।
24 বাদশাহ্ যখন শহর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ইমাম সাদোক ও সমস্ত লেবীয়রাও তাঁর সংগে ছিল। লেবীয়রা আল্লাহ্র সাক্ষ্য-সিন্দুকটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। শহর থেকে সমস্ত লোক বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত লেবীয়রা আল্লাহ্র সিন্দুকটা নামিয়ে রাখল আর ইমাম অবিয়াথরও তাদের সংগে ছিলেন।
25 সমস্ত লোক বেরিয়ে যাবার পর বাদশাহ্ দাউদ সাদোককে বললেন, “আল্লাহ্র সিন্দুকটা শহরে ফিরিয়ে নিয়ে যান। মাবুদ যদি আমাকে দয়ার চোখে দেখেন তবে তিনি আমাকে ফিরিয়ে আনবেন আর এই সিন্দুক ও তাঁর থাকবার জায়গা আবার আমাকে দেখতে দেবেন।