8 ঈশ্বোশতের কথা শুনে অবনের ভীষণ রেগে গিয়ে বললেন, “আমি কি এহুদা পক্ষের কুকুরের মাথা? আজ পর্যন্ত আমি তোমার বাবা তালুতের পরিবারের প্রতি এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছি। আমি তোমাকে দাউদের হাতে তুলে দিই নি। এর পরেও তুমি ঐ স্ত্রীলোকটি সম্বন্ধে আমাকে দোষী করছ!
9-10 দাউদের কাছে মাবুদ কসম খেয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন সেইভাবে যদি আমি কাজ না করি, অর্থাৎ তালুতের বংশ থেকে রাজ্য নিয়ে দান শহর থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত ইসরাইল ও এহুদার উপরে দাউদের সিংহাসন স্থাপন না করি তবে আল্লাহ্ যেন অবনেরকে শাস্তি দেন এবং তা ভীষণভাবেই দেন।”
11 ঈশ্বোশৎ অবনেরকে আর একটা কথাও বলতে সাহস করলেন না, কারণ তিনি তাঁকে ভয় করলেন।
12 এর পর অবনের নিজের পক্ষ থেকে দাউদের কাছে লোক পাঠিয়ে তাঁকে এই কথা বললেন, “এই দেশটা কার? আপনি আমার সংগে একটি চুক্তি করুন। আমি সমস্ত বনি-ইসরাইলদের আপনার পক্ষে নিয়ে আসতে আপনাকে সাহায্য করব।”
13 দাউদ বললেন, “খুব ভাল, আমি আপনার সংগে একটা চুক্তি করব, কিন্তু আপনার কাছে আমার একটা শর্ত আছে। আপনি যখন আবার আমার কাছে আসবেন তখন তালুতের মেয়ে মীখলকে না নিয়ে আমার সামনে আসবেন না।”
14 তারপর দাউদ তালুতের ছেলে ঈশ্বোশতের কাছে লোক পাঠিয়ে এই দাবি জানালেন, “আমার স্ত্রী মীখলকে দাও। আমি ফিলিস্তিনীদের একশো পুরুষাংগের সামনের চামড়া মহরানা দিয়ে তাকে বিয়ে করেছিলাম।”
15 তখন ঈশ্বোশতের হুকুমে মীখলের স্বামী লয়িশের ছেলে পল্টিয়েলের কাছ থেকে মীখলকে নিয়ে আসা হল।