2 তালুতের ছেলের পক্ষে ছিল হানাদার বাহিনীর দুইজন সরদার। তাদের একজনের নাম ছিল বানা আর অন্যজনের নাম রেখব। তারা ছিল বিন্যামীন-গোষ্ঠীর বেরোতীয় রিম্মোণের ছেলে। বেরোতকে বিন্ইয়ামীন এলাকার অংশ বলে ধরা হত,
3 কারণ বেরোতের লোকেরা গিত্তয়িমে পালিয়ে গিয়ে আজও সেখানে বিদেশী হিসাবে বাস করছে।
4 তালুতের ছেলে যোনাথনের একটি ছেলে ছিল। তার দু’টি পা-ই ছিল খোঁড়া। যিষ্রিয়েল থেকে যখন তালুত ও যোনাথনের মৃত্যুর খবর এসেছিল তখন তার বয়স ছিল পাঁচ বছর। খবর শুনে ছেলেটির ধাইমা তাকে কোলে তুলে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে পালিয়ে যাবার সময় ছেলেটি পড়ে গিয়ে তার পা খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল। ছেলেটির নাম ছিল মফীবোশৎ।
5 বেরোতীয় রিম্মোণের ছেলে রেখব আর বানা একদিন দুপুর বেলায় ঈশ্বোশতের বিশ্রামের সময় তাঁর বাড়ীতে গিয়ে উপস্থিত হল।
6-8 গম নেবার ভান করে তারা বাড়ীর ভিতরে ঢুকল। তখন ঈশ্বোশৎ তাঁর শোবার ঘরে খাটের উপর শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। রেখব ও বানা তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁর পেটে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করল, তারপর তাঁর মাথাটা কেটে নিয়ে পালিয়ে গেল। তারা সারা রাত আরবার পথ ধরে হেবরনে দাউদের কাছে সেটা নিয়ে গেল। তারা তাঁকে বলল, “আপনার শত্রু তালুত, যে আপনার প্রাণ নেবার চেষ্টা করেছিল, এই যে তাঁর ছেলে ঈশ্বোশতের মাথা। আজ মাবুদ আমাদের প্রভু মহারাজের পক্ষে তালুত ও তাঁর ছেলের উপর প্রতিশোধ নিলেন।”
9 জবাবে দাউদ বেরোতীয় রিম্মোণের ছেলে রেখব ও তার ভাই বানাকে বললেন, “যিনি সমস্ত বিপদ থেকে আমাকে উদ্ধার করেছেন সেই আল্লাহ্র কসম খেয়ে বলছি,
10 যে লোকটি শুভ সংবাদ এনেছে ভেবে আমাকে তালুতের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল আমি তাকে ধরে সিক্লগে হত্যা করেছিলাম। তার খবরের জন্য সেটাই ছিল তাকে দেওয়া আমার পুরস্কার।