1 ধনীরা, তোমরা শোন। তোমাদের উপর যে কষ্ট আসছে তার জন্য কাঁদ ও হাহাকার কর।
2 তোমাদের ধন নষ্ট হয়ে গেছে এবং তোমাদের কাপড়-চোপড় পোকায় কেটেছে।
3 তোমাদের সোনা ও রূপাতে মরচে ধরেছে, আর সেই মরচে তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং আগুনের মত করে তোমাদের গোশ্ত খেয়ে ফেলবে। এই শেষ দিনগুলোতে তোমরা ধন-সম্পত্তি জমা করেছ।
4 তোমাদের ক্ষেতে যে মজুরেরা ফসল কেটেছে তোমরা তাদের মজুরি দাও নি; আর দেখ, সেই মজুরি এখন চিৎকার করে তোমাদের দোষী করছে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কানে সেই মজুরদের চিৎকার গিয়ে পৌঁছেছে।
5 এই দুনিয়াতে তোমরা খুব আরামের মধ্যে দিন কাটিয়েছ এবং উ"ছৃংখলতার হাতে নিজেদের ছেড়ে দিয়েছ। জবাই করবার দিনের জন্য তোমরা নিজেদের কেবল তাজাই করেছ।
6 তোমরা নির্দোষীদের দোষী করেছ এবং হত্যা করেছ, আর তারা তোমাদের বাধা দেয় নি।
7 এইজন্য ভাইয়েরা, যে পর্যন্ত না প্রভু আসেন সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধরে সব সহ্য কর। ক্ষেতের দামী ফসলের জন্য চাষী কেমন ভাবে অপেক্ষা করে এবং প্রথম ও শেষ বর্ষার জন্য ধৈর্য ধরে, তা দেখেছ?
8 তোমরাও তেমনি করে ধৈর্য ধর আর দিল স্থির রাখ, কারণ প্রভু শীঘ্রই আসছেন।
9 ভাইয়েরা, আল্লাহ্ যেন তোমাদের দোষ না ধরেন এইজন্য তোমরা একে অন্যকে দোষ দিয়ো না। দেখ, বিচারকর্তা দরজার কাছাকাছি এসে পড়েছেন।
10 ভাইয়েরা, যে নবীরা প্রভুর পক্ষ হয়ে কথা বলেছেন, কষ্টের সময়ে কিভাবে তাঁরা ধৈর্য ধরতেন সেই কথা চিন্তা করে দেখ।
11 যাঁরা ধৈর্য ধরে সহ্য করেছেন তাঁদের আমরা ধন্য বলি। তোমরা নবী আইয়ুবের ধৈর্যের কথা শুনেছ এবং প্রভুর কাজের শেষ ফল যে ভাল তা-ও দেখেছ। প্রভুর রহমত ও মমতার শেষ নেই।
12 আমার ভাইয়েরা, আমি বিশেষভাবে এই কথা বলি, তোমরা আসমান, জমীন বা অন্য কোন জিনিসের নামে কসম খেয়ো না। তার চেয়ে বরং তোমাদের “হ্যাঁ,” “হ্যাঁ”-ই হোক এবং “না,” “না”-ই হোক, যেন তোমরা বিচারের দায়ে না পড়।
13 তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে? সে মুনাজাত করুক। কেউ কি সুখী?
14 সে প্রশংসা-কাওয়ালী করুক। কেউ কি অসুস্থ? সে জামাতের প্রধান নেতাদের ডাকুক। তাঁরা প্রভুর নামে তাঁর মাথায় তেল দিয়ে তার জন্য মুনাজাত করুন।
15 বিশ্বাসপূর্ণ মুনাজাত সেই অসুস্থ লোককে সুস্থ করবে; প্রভুই তাকে ভাল করবেন। সে যদি গুনাহ্ করে থাকে তবে আল্লাহ্ তাকে মাফ করবেন।
16 এইজন্য তোমরা একে অন্যের কাছে গুনাহ্ স্বীকার কর এবং একে অন্যের জন্য মুনাজাত কর, যেন তোমরা সুস্থ হতে পার। আল্লাহ্র ইচ্ছামত যে চলে তার মুনাজাতের জোর আছে বলে তা ফল দেয়।
17 নবী ইলিয়াস আমাদের মতই একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আকুল ভাবে মুনাজাত করলেন যেন বৃষ্টি না হয়, আর সাড়ে তিন বছর দেশে বৃষ্টি হয় নি।
18 পরে তিনি আবার মুনাজাত করলেন; তখন আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ল আর মাটিতে ফসল হল।
19 আমার ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সত্য থেকে দূরে সরে যায় আর তোমরা কেউ তাকে ফিরিয়ে আন,
20 তবে এই কথা জেনে রেখো- যদি কেউ একজন গুনাহ্গারকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনে তবে সে তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করে এবং অনেক গুনাহ্ ঢেকে রাখে।