10-12 কেবল তা-ই নয়, রেবেকার যমজ ছেলেরা একই পুরুষের সন্তান ছিল। সেই পুরুষটি ছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ ইসহাক। সেই ছেলে দু’টির জন্মের আগে যখন তারা ভাল বা খারাপ কিছুই করে নি আল্লাহ্ তখনই রেবেকাকে বলেছিলেন, “বড়টি ছোটটির গোলাম হবে।” এতে আল্লাহ্ দেখিয়েছিলেন যে, নিজের উদ্দেশ্য পূর্ণ করবার জন্য তিনিই বেছে নেন; কোন কাজের ফলে তিনি তা করেন না বরং তাঁর ইচ্ছামতই তিনি মানুষকে ডাকেন।
13 আর তাই পাক-কিতাবে লেখা আছে, “ইয়াকুবকে আমি মহব্বত করেছি, কিন্তু ইস্কে অগ্রাহ্য করেছি।”
14 তাহলে আমরা কি বলব আল্লাহ্ অন্যায় করেন? মোটেই না।
15 তিনি মূসাকে বলেছিলেন, “আমার যাকে ইচ্ছা তাকে দয়া করব, যাকে ইচ্ছা তাকে মমতা করব।”
16 এটা তাহলে কারও চেষ্টা বা ইচ্ছার উপর ভরসা করে না, আল্লাহ্র দয়ার উপরেই ভরসা করে।
17 পাক-কিতাবে আল্লাহ্ ফেরাউনকে এই কথা বলেছিলেন, “আমি তোমাকে বাদশাহ্ করেছি যেন তোমার প্রতি আমার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমার কুদরত দেখাতে পারি এবং সমস্ত দুনিয়াতে যেন আমার নাম প্রচারিত হয়।”
18 তাহলে দেখা যায়, আল্লাহ্ নিজের ইচ্ছামত কাউকে দয়া করেন এবং কারও দিল কঠিন করেন।