1 দেখ, পিতা আমাদের কত মহব্বত করেন! তিনি আমাদের তাঁর সন্তান বলে ডাকেন, আর আসলে আমরা তা-ই। এইজন্য দুনিয়া আমাদের জানে না, কারণ দুনিয়া পিতাকেও জানে নি।
2 প্রিয় সন্তানেরা, এখন আমরা আল্লাহ্র সন্তান, কিন্তু পরে কি হব তা এখনও প্রকাশিত হয় নি। তবে আমরা জানি, মসীহ্ যখন প্রকাশিত হবেন তখন আমরা তাঁরই মত হব, কারণ তিনি আসলে যা, সেই চেহারাতেই আমরা তাঁকে দেখতে পাব।
3 যে কেউ মসীহের উপর এই আশা রাখে সে নিজেকে খাঁটি করতে থাকে যেমন মসীহ্ খাঁটি।
4 যারা গুনাহ্ করে তারা আল্লাহ্র কালাম অমান্য করে। গুনাহ্ হল আল্লাহ্র কালাম অমান্য করা।
5 তোমরা তো জান যে, আমাদের গুনাহ্ দূর করবার জন্যই মসীহ্ প্রকাশিত হয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে কোন গুনাহ্ নেই। যারা মসীহের মধ্যে থাকে তারা গুনাহে পড়ে থাকে না।
6 যারা গুনাহে পড়ে থাকে তারা মসীহ্কে দেখেও নি এবং জানেও নি।
7 সন্তানেরা, কেউ যেন তোমাদের বিপথে নিয়ে না যায়। মসীহ্ অন্যায় করেন না, আর যে কেউ ন্যায় কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সেও অন্যায় করে না।
8 যে গুনাহ্ করতেই থাকে সে ইবলিসের, কারণ ইবলিস প্রথম থেকেই গুনাহ্ করে চলেছে। ইবলিসের কাজকে ধ্বংস করবার জন্যই ইব্নুল্লাহ্ প্রকাশিত হয়েছিলেন।
9 আল্লাহ্ থেকে যার জন্ম হয়েছে সে গুনাহে পড়ে থাকে না, কারণ আল্লাহ্র স্বভাব তার মধ্যে থাকে। আল্লাহ্ থেকে জন্ম হয়েছে বলে সে গুনাহে পড়ে থাকতে পারে না।
10 যারা ন্যায় কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখে না এবং ভাইকে মহব্বত করে না, তারা আল্লাহ্র নয়। এতেই প্রকাশ পায়, কারা আল্লাহ্র সন্তান আর কারাই বা ইবলিসের সন্তান।
11 যে কথা তোমরা প্রথম থেকে শুনে আসছ তা এই- আমাদের একে অন্যকে মহব্বত করা উচিত।
12 সেইজন্য আমি বলছি, আমরা যেন কাবিলের মত না হই। কাবিল শয়তানের লোক ছিল এবং তার ভাইকে সে খুন করেছিল। কেন সে তাকে খুন করেছিল? কারণ সে খারাপ কাজ করত, আর তার ভাই ন্যায় কাজ করত।
13 ভাইয়েরা, দুনিয়ার লোকেরা যদি তোমাদের ঘৃণা করে তাতে আশ্চর্য হয়ো না।
14 আমরা ভাইদের মহব্বত করি বলেই বুঝতে পারছি, আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে এসেছি। যারা মহব্বত করে না তারা মৃত্যুর মধ্যে থাকে।
15 ভাইকে যে ঘৃণা করে সে খুনী। কোন খুনীর মধ্যে যে অনন্ত জীবন থাকে না, তা তোমাদের অজানা নেই।
16 মসীহ্ আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই মহব্বত কি তা আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে ভাইদের জন্য নিজের প্রাণ দেওয়া আমাদেরও উচিত।
17 এই দুনিয়াতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবার মত অবস্থা যার আছে, সে তার ভাইদের অভাব দেখেও যদি চোখ বন্ধ করে রাখে তবে কেমন করে তার অন্তরে আল্লাহ্র প্রতি মহব্বত থাকতে পারে?
18 সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু মুখের মহব্বত না দেখিয়ে কাজের মধ্য দিয়ে সত্যিকারের মহব্বত দেখাই।
19-20 এতে আমরা জানতে পারব যে, আমরা সত্যের। তা ছাড়া কোন ব্যাপারে যদি আমাদের অন্তর আমাদের দোষী করে তবে আল্লাহ্র সামনে আমাদের অন্তরকে আমরা সান্ত্বনা দিতে পারব। আল্লাহ্ আমাদের অন্তর থেকে মহান এবং তিনি সব কিছুই জানেন।
21 প্রিয় সন্তানেরা, আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী না করে তবে আল্লাহ্র সামনে আমাদের সাহস থাকবে।
22 তার ফলে আমরা যা কিছু চাইব তা তাঁর কাছ থেকে পাব, কারণ তিনি যে সব হুকুম দিয়েছেন সেগুলো আমরা পালন করি এবং তিনি যে সব কাজে সন্তুষ্ট হন আমরা তা-ই করি।
23 তাঁর হুকুম এই- আমরা যেন তাঁর পুত্র ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনি এবং একে অন্যকে মহব্বত করি। এই হুকুমই তিনি আমাদের দিয়েছেন।
24 তাঁর হুকুম যে পালন করে সে তাঁর মধ্যে থাকে এবং তিনিও তার মধ্যে থাকেন। যে পাক-রূহ্ তিনি আমাদের দিয়েছেন সেই পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি আমাদের অন্তরে থাকেন।