1 যারা ঈমান এনেছে ঈসা-ই সেই মসীহ্, আল্লাহ্ থেকেই তাদের জন্ম হয়েছে। যারা পিতাকে মহব্বত করে তারা তাঁর সন্তানকেও মহব্বত করে।
2 যখন আমরা আল্লাহ্কে মহব্বত করি এবং তাঁর হুকুম পালন করি তখন জানি যে, আল্লাহ্র সন্তানদেরও আমরা মহব্বত করি।
3 আল্লাহ্র হুকুম পালন করাই হল আল্লাহ্র প্রতি মহব্বত। তাঁর হুকুম ভারী বোঝার মত নয়,
4 কারণ আল্লাহ্র প্রত্যেকটি সন্তান দুনিয়ার উপর জয়লাভ করে থাকে। দুনিয়ার উপর যা জয়লাভ করেছে তা হল আমাদের ঈমান।
5 যারা ঈমান এনেছে ঈসা আল্লাহ্র পুত্র, একমাত্র তারাই দুনিয়ার উপর জয়লাভ করে।
6 ইনিই ঈসা মসীহ্, যিনি পানি ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। কেবল পানির মধ্য দিয়ে নয়, কিন্তু পানি ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। পাক-রূহ্ এই বিষয়ে সাক্ষ্য দেন, কারণ তিনি নিজেই সত্য।
7-8 পাক-রূহ্, পানি ও রক্ত- এই তিনের মধ্য দিয়ে সেই সাক্ষ্য আসছে এবং সেই তিনের সাক্ষ্য এক।
9 আমরা মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করে থাকি, কিন্তু আল্লাহ্র সাক্ষ্য তার চেয়েও বড়; আর তিনি তাঁর পুত্রের বিষয়ে সেই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
10 ইব্নুল্লাহ্র উপর যে ঈমান আনে তার অন্তরে সেই সাক্ষ্য আছে। যারা আল্লাহ্র কথায় ঈমান আনে নি তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বানিয়েছে, কারণ আল্লাহ্ তাঁর পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা তারা ঈমান আনে নি।
11 সেই সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।
12 ইব্নুল্লাহ্কে যে পেয়েছে সে সেই জীবনও পেয়েছে; কিন্তু ইব্নুল্লাহ্কে যে পায় নি সে সেই জীবনও পায় নি।
13 তোমরা যারা ইব্নুল্লাহ্র উপর ঈমান এনেছ, তোমাদের কাছে আমি এই সমস্ত লিখলাম যাতে তোমরা জানতে পার যে, তোমরা অনন্ত জীবন পেয়েছ।
14 আল্লাহ্র উপর আমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, তাঁর ইচ্ছামত যদি আমরা কিছু চাই তবে তিনি আমাদের কথা শোনেন।
15 যদি আমরা জানি, আমরা যা কিছু চাই তা তিনি শোনেন তবে এও জানি যে, আমরা তাঁর কাছ থেকে যা চেয়েছি তা আমাদের পাওয়া হয়ে গেছে।
16 যদি কেউ তার ভাইকে এমনভাবে গুনাহ্ করতে দেখে যা মৃত্যুমুখী নয়, তবে সে আল্লাহ্র কাছে চাইবে আর তাতে তিনি তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আমি এখানে তাদের কথাই বলছি যারা গুনাহ্ করছে অথচ তাদের গুনাহ্ মৃত্যুমুখী নয়। কিন্তু মৃত্যুমুখী গুনাহ্ও আছে। সেই বিষয়ে অনুরোধ করবার কথা আমি তোমাদের বলছি না।
17 সব রকমের অন্যায়ই গুনাহ্, তবে সব গুনাহ্ মৃত্যুমুখী নয়।
18 আমরা জানি, আল্লাহ্ থেকে যার জন্ম হয়েছে সে গুনাহে পড়ে থাকে না। যিনি আল্লাহ্ থেকে জন্মেছিলেন তিনিই তাকে রক্ষা করেন, আর ইবলিস তাকে ছুঁতে পারে না।
19 আমরা জানি আমরা আল্লাহ্র, আর সমস্ত দুনিয়া ইবলিসের ক্ষমতার নীচে পড়ে আছে।
20 আমরা আরও জানি যে, ইব্নুল্লাহ্ এসে আমাদের বুঝবার শক্তি দিয়েছেন যেন সত্য আল্লাহ্কে আমরা জানতে পারি। যিনি সত্য আল্লাহ্ আমরা তাঁর সংগে যুক্ত, অর্থাৎ তাঁর পুত্র ঈসা মসীহের সংগে যুক্ত। তিনিই সত্য আল্লাহ্ এবং তিনিই অনন্ত জীবন।
21 সন্তানেরা, প্রতিমার সংগে তোমাদের কোন সম্বন্ধ না থাকুক। ॥ভব