1 এইজন্য অন্যদের ক্ষতি করবার সব রকম ইচ্ছা, সব রকম ছলনা, ভণ্ডামি, হিংসা এবং সব রকম নিন্দার কথাবার্তা তোমাদের দিল থেকে দূর করে দাও।
2 এইমাত্র জন্মেছে এমন শিশুর মত তোমাদের রূহানি বৃদ্ধির জন্য খাঁটি দুধ পেতে তোমরা খুব আগ্রহী হও, যেন তার দ্বারা বেড়ে উঠতে উঠতে তোমরা নাজাতের পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যেতে পার।
3 প্রভুর দয়ার স্বাদ তো তোমরা পেয়েছ।
4-5 এমন একটি জীবন্ত পাথর আছে যাকে আল্লাহ্ বেছে নিয়েছেন এবং যা তাঁর চোখে খুবই মূল্যবান, কিন্তু লোকে তাকে অগ্রাহ্য করেছে। মসীহ্ই হলেন সেই পাথর; তোমরা তাঁর কাছে এসেছ বলে জীবন্ত পাথরের মত করে তোমাদের দিয়েও আল্লাহ্র থাকবার ঘর তৈরী করা হচ্ছে। সেইজন্য ইমাম হিসাবে আল্লাহ্র জন্য তোমাদের আলাদা করা হয়েছে, যেন তোমরা এমন সব রূহানি কোরবানী দাও যা ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হয়।
6 পাক-কিতাবে লেখা আছে,দেখ, একটা খুব দামী পাথর আমি বেছে নিয়েছি;আর সেটা সিয়োনের কোণের ভিত্তির পাথর হিসাবেস্থাপন করেছি।যে তাঁর উপরে ঈমান আনেসে কোনমতেই নিরাশ হবে না।
7 এইজন্য তোমরা ঈমান এনেছ বলে তোমাদের কাছে সেই পাথর খুব মূল্যবান; কিন্তু যারা ঈমান আনে নি তাদের পক্ষে কিতাবের এই কথাটা খাটে,রাজমিস্ত্রিরা যে পাথরটা বাতিল করে দিয়েছিল,সেটাই সবচেয়ে দরকারী পাথর হয়ে উঠল।
8 আবার কিতাবের এই কথাও খাটে,সেটা এমন পাথর যাতে লোকে উচোট খাবে,আর যা লোকের উচোট খাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।লোকে আল্লাহ্র কালাম অমান্য করে বলেই উচোট খায়, আর এরই জন্য তারা ঠিক হয়ে আছে।
9 কিন্তু তোমরা তো “বাছাই করা বংশ হয়েছ; তোমাদের দিয়ে গড়া হয়েছে ইমামদের রাজ্য; তোমরা পবিত্র জাতি ও তাঁর নিজের বান্দা হয়েছ;” যেন অন্ধকার থেকে যিনি তোমাদের তাঁর আশ্চর্য নূরের মধ্যে ডেকে এনেছেন তোমরা তাঁরই গুণগান কর।
10 এক সময় তোমরা আল্লাহ্র বান্দা ছিলে না, কিন্তু এখন হয়েছ; এক সময় তোমরা মমতা পাও নি, কিন্তু এখন পেয়েছ।
11 প্রিয় বন্ধুরা, এই দুনিয়াতে তোমরা বিদেশী এবং পরদেশে অল্পকাল বাসকারী বলে আমি তোমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি যে, তোমরা গুনাহ্-স্বভাবের কামনা-বাসনা থেকে দূরে থাক,
12 কারণ সেগুলো তোমাদের রূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আল্লাহ্কে যারা জানে না তাদের মধ্যে তোমরা সৎ ভাবে চল যাতে অন্যায়কারী বলে তারা তোমাদের নিন্দা করলেও তোমাদের ভাল কাজগুলো লক্ষ্য করে এবং রোজ হাশরে তোমাদের সেই কাজগুলোর জন্য আল্লাহ্র প্রশংসা করে।
13 তোমরা প্রভুর প্রতি বাধ্য হয়ে মানুষের নিযুক্ত শাসনকর্তাদের অধীনতা স্বীকার কর। সম্রাট সকলের প্রধান বলে তাঁর অধীনে থাক;
14 অন্যায়কারীদের শাস্তি দেবার জন্য এবং যারা ভাল কাজ করে তাদের প্রশংসা করবার জন্য সম্রাট যে শাসনকর্তাদের পাঠান তাঁদেরও অধীনে থাক।
15 আল্লাহ্র ইচ্ছা এই যে, তোমরা যেন ভাল কাজ করে মুর্খ লোকদের বুদ্ধিহীন কথাবার্তা বন্ধ করে দাও।
16 স্বাধীন লোক হিসাবে জীবন কাটাও, কিন্তু দুষ্টতা ঢাকবার জন্য সেই স্বাধীনতা ব্যবহার কোরো না। তার বদলে আল্লাহ্র গোলাম হিসাবে জীবন কাটাও।
17 সব লোককে সম্মান কর, তোমাদের ঈমানদার ভাইদের মহব্বত কর, আল্লাহ্কে ভয় কর, সম্রাটকে সম্মান কর।
18 বাড়ীর চাকর-বাকরেরা, তোমরা তোমাদের মালিকদের সম্মান করে তাঁদের অধীনে থাক। যে মালিকেরা ভাল ও দয়ালু কেবল যে তাঁদের অধীনতা স্বীকার করবে তা নয়, কিন্তু যাঁরা কর্কশ ব্যবহার করেন তাঁদেরও অধীনতা স্বীকার কর।
19 যদি কেউ অন্যায় ভাবে কষ্ট ভোগ করে এবং আল্লাহ্কে মনে রেখে তা সহ্য করে তবে সে আল্লাহ্র চোখে প্রশংসার যোগ্য।
20 অন্যায় কাজের জন্য মার খেয়ে যদি তোমরা তা সহ্য কর তবে তাতে প্রশংসা করবার কি আছে? কিন্তু ভাল কাজ করেও যদি তোমরা তার জন্য কষ্ট পেয়ে তা সহ্য কর, তবে সেটাই আল্লাহ্র চোখে প্রশংসার যোগ্য।
21 এরই জন্য আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন, কারণ মসীহ্ তোমাদের জন্য কষ্ট ভোগ করে তোমাদের কাছে আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরাও তাঁরই মত চল,
22 যিনি কোন গুনাহ্ করেন নিকিংবা যাঁর মুখে কোন ছলনার কথা ছিল না।
23 লোকে তাঁকে যখন অপমান করেছে তখন তিনি তাদের ফিরে অপমান করেন নি, আর কষ্টভোগের সময় প্রতিশোধ নেবার ভয়ও দেখান নি, বরং যিনি ন্যায়বিচার করেন তাঁর হাতে তিনি নিজেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
24 তিনি ক্রুশের উপরে নিজের শরীরে আমাদের গুনাহের বোঝা বইলেন, যেন আমরা গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছে মরে আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলবার জন্য বেঁচে থাকি। তাঁর গায়ের ক্ষত তোমাদের সুস্থ করেছে।
25 ভুল পথে যাওয়া ভেড়ার মত তোমরাও ভুল পথে যাচ্ছিলে, কিন্তু যে পালক তোমাদের দিলের দেখাশোনা করেন তোমরা তাঁর কাছে ফিরে এসেছ।