1 আমি মসীহের দুঃখভোগের সাক্ষী এবং তাঁর যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার ভাগী। সেইজন্য তোমাদের মধ্যে যারা জামাতের প্রধান নেতা তাদের আমি আর একজন প্রধান নেতা হিসাবে এই উপদেশ দিচ্ছি-
2 তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র যে ভেড়ার দল আছে তোমরা তার রাখাল হও। দেখাশোনা করতে হবে বলে যে তাদের দেখাশোনা করবে তা নয়, বরং নিজের ইচ্ছাতেই তা কর, কারণ আল্লাহ্ তোমাদের কাছে তা-ই চান। লাভের আশায় এই কাজ কোরো না, কিন্তু আগ্রহের সংগে কর;
3 তোমাদের অধীনে যারা আছে তাদের উপর প্রভু হয়ো না, বরং এমন হও যাতে তোমাদের দেখে তারা শিখতে পারে।
4 তাহলে যখন প্রধান রাখাল দেখা দেবেন তখন তোমরা জয়ের মালা হিসাবে তাঁর মহিমার ভাগী হবে, আর তা কখনও ্নান হবে না।
5 সেইভাবে যুবকেরা, তোমরা প্রধান নেতাদের অধীনে থাক। তোমরা সবাই নম্র হয়ে একে অন্যের সেবা কর, কারণ পাক-কিতাবের কথামত, “আল্লাহ্ অহংকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, কিন্তু নম্রদের রহমত করেন।”
6 সেইজন্য আল্লাহ্র ক্ষমতার সামনে নিজেদের নীচু কর, যেন ঠিক সময়ে তিনি তোমাদের উঁচু করেন।
7 তোমাদের সব চিন্তা-ভাবনার ভার তাঁর উপর ফেলে দাও, কারণ তিনি তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করেন।
8 নিজেদের দমনে রাখ ও সতর্ক থাক, কারণ তোমাদের শত্রু ইবলিস গর্জনকারী সিংহের মত করে কাকে খেয়ে ফেলবে তার খোঁজ করে বেড়াচ্ছে।
9 ঈমানে স্থির থেকে ইবলিসকে রুখে দাঁড়াও, কারণ তোমরা তো জান যে, সারা দুনিয়ার মধ্যে তোমাদের ঈমানদার ভাইয়েরা একই রকম দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছে।
10 যিনি সব রকম ভাবে রহমত করবার আল্লাহ্ তিনি তাঁর চিরস্থায়ী মহিমার ভাগী হবার জন্য তোমাদের ডেকেছেন, কারণ মসীহের সংগে তোমরা যুক্ত হয়েছ। তোমরা কিছুদিন কষ্টভোগ করবার পরে আল্লাহ্ নিজেই তোমাদের পূর্ণ করবেন ও স্থির রাখবেন, শক্তি দেবেন এবং শক্ত ভিত্তির উপর তোমাদের দাঁড় করাবেন।
11 তাঁর ক্ষমতা চিরকাল থাকুক। আমিন।
12 সীলবান, যাঁকে আমি আমার বিশ্বস্ত ভাই মনে করি, তাঁকে দিয়ে এই চিঠি আমি অল্প কথায় তোমাদের কাছে লিখলাম, যেন আমি তোমাদের উৎসাহ দিতে পারি এবং আল্লাহ্র সত্যিকারের রহমতের সাক্ষ্য দিতে পারি। তোমরা আল্লাহ্র এই রহমতের মধ্যে স্থির হয়ে বাস কর।
13 আল্লাহ্ তোমাদের সংগে যাদের বেছে নিয়েছেন ব্যাবিলনের সেই জামাতের লোকেরা তোমাদের সালাম জানাচ্ছে, আর আমার সন্তান মার্কও তোমাদের সালাম জানাচ্ছে।
14 মহব্বতের মনোভাব নিয়ে তোমরা একে অন্যকে সালাম জানায়ো।তোমরা যারা মসীহের নিজের হয়েছ, তোমাদের শান্তি হোক।