13 সেই স্ত্রী বললো, তবে আল্লাহ্র লোকের বিপক্ষে আপনি কেন সেরকম সঙ্কল্প করছেন? ফলে এই কথা বলাতে বাদশাহ্ এক রকম দোষী হয়ে পড়লেন, যেহেতু বাদশাহ্ তাঁর নির্বাসিত সন্তানটি ফিরিয়ে আনছেন না।
14 আমরা তো নিশ্চয়ই মারা যাব এবং যা একবার ভূমিতে ঢেলে ফেললে পরে তুলে নেওয়া যায় না, এমন পানির মতই হব; পরন্তু আল্লাহ্ও প্রাণ হরণ করেন না, কিন্তু নির্বাসিত লোক যাতে তাঁর কাছ থেকে দূরে না থাকে, তার উপায় চিন্তা করেন।
15 এখন আমি যে আমার মালিক বাদশাহ্র কাছে নিবেদন করতে এলাম, তার কারণ এই; লোকেরা আমাকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল; তাই আপনার বাঁদী মনে মনে বললো, আমি বাদশাহ্র কাছে নিবেদন করবো; হতে পারে, বাদশাহ্ তাঁর বাঁদীর নিবেদন অনুসারে কাজ করবেন।
16 আমার পুত্রের সঙ্গে আমাকে আল্লাহ্র অধিকার থেকে উচ্ছিন্ন করতে যে চেষ্টা করে, তার হাত থেকে আপনার বাঁদীকে উদ্ধার করতে বাদশাহ্ অবশ্য মনোযোগ দেবেন।
17 আপনার বাঁদী বলছে, আমার মালিক বাদশাহ্র কথা সান্ত্বনাযুক্ত হোক, কেননা ভাল-মন্দ বিবেচনা করতে আমার মালিক বাদশাহ্ আল্লাহ্র ফেরেশতার মত; আর আপনার আল্লাহ্ মাবুদ আপনার সহবর্তী থাকুন।
18 তখন বাদশাহ্ জবাবে স্ত্রীলোকটিকে বললেন, আরজ করি, তোমাকে যা জিজ্ঞাসা করবো, তা আমার কাছ থেকে গোপন করো না।
19 জবাবে স্ত্রীলোকটি বললো, আমার মালিক বাদশাহ্ বলুন। বাদশাহ্ বললেন, এ সব ব্যাপারে তোমার সঙ্গে কি যোয়াবের হাত আছে? জবাবে সে বললো, হে আমার মালিক বাদশাহ্, আপনার জীবন্ত প্রাণের কসম, আমার মালিক বাদশাহ্ যা বলেছেন, তার ডানে বা বামে ফিরবার কোনও উপায় নেই; আপনার গোলাম যোয়াবই আমাকে হুকুম করেছেন, এ সব কথা আপনার বাঁদীকে শিখিয়ে দিয়েছেন।