19 অতএব দাউদ মাবুদের হুকুম মত গাদের সান্ত্বনা অনুসারে গেলেন।
20 তখন অরৌণা দৃষ্টিপাত করে দেখতে পেল, বাদশাহ্ ও তাঁর গোলামেরা তার কাছে আসছেন; তাতে অরৌণা বাইরে এসে বাদশাহ্র সম্মুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে পরে সালাম করলো।
21 আর অরৌণা বললো, আমার মালিক বাদশাহ্ তাঁর গোলামের কাছে কি জন্য এসেছেন? দাউদ বললেন, লোকদের উপর থেকে মহামারী যেন নিবৃত্ত হয়, এজন্য মাবুদের উদ্দেশে একটি কোরবানগাহ্ তৈরি করবো বলে আমি তোমার কাছ থেকে এই খামার ক্রয় করতে এসেছি।
22 তখন অরৌণা দাউদকে বললো, আমার মালিক বাদশাহ্র দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয়, তা-ই নিয়ে কোরবানী করুন; দেখুন, পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এই ষাঁড়গুলো এবং কাঠের জন্য এই মাড়াই-যন্ত্র ও ষাঁড়গুলোর সজ্জা আছে;
23 হে বাদশাহ্, অরৌণা বাদশাহ্কে এ সমস্ত দিচ্ছে। অরৌণা বাদশাহ্কে আরও বললো, মাবুদ আপনার আল্লাহ্ আপনাকে গ্রাহ্য করুন।
24 কিন্তু বাদশাহ্ অরৌণাকে বললেন, তা নয়, আমি অবশ্য মূল্য দিয়ে তোমার কাছ থেকে এ সমস্ত ক্রয় করবো; আমি আমার আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে বিনামূল্যে পোড়ানো-কোরবানী করবো না। পরে দাউদ পঞ্চাশ শেকল রূপা দিয়ে সেই খামার ও ষাঁড়গুলো ক্রয় করে নিলেন।
25 আর দাউদ সেই স্থানে মাবুদের উদ্দেশে এই কোরবানগাহ্ তৈরি করে পোড়ানো-কোরবানী ও মঙ্গল-কোরবানী করলেন। এভাবে দেশের জন্য মাবুদের কাছে নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হলেন এবং ইসরাইল থেকে মহামারী নিবৃত্ত হল।