1 পৌল, আল্লাহ্র ইচ্ছায় মসীহ্ ঈসার প্রেরিত— ইফিষে অবস্থিত পবিত্র লোক ও যারা মসীহ্ ঈসাতে বিশ্বস্ত তাদের সমীপে।
2 আমাদের পিতা আল্লাহ্ এবং ঈসা মসীহের কাছ থেকে রহমত ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্ষিত হোক।
3 ধন্য আমাদের ঈসা মসীহের আল্লাহ্ ও পিতা, যিনি আমাদের সমস্ত রূহানিক দোয়ায় বেহেশতী স্থানে মসীহে দোয়া করেছেন;
4 কারণ তিনি দুনিয়া সৃষ্টি করবার আগে মসীহে আমাদেরকে মনোনীত করেছিলেন যেন আমরা তাঁর সাক্ষাতে মহব্বতে পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক হই।
5 তিনি আমাদের ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে তাঁর দত্তক সন্তান হিসেবে তাঁর নিজের জন্য গ্রহণ করলেন যা তিনি আগে থেকেই নিরূপণ করে রেখেছিলেন; এই কাজ তিনি নিজের ইচ্ছার মঙ্গলময় সঙ্কল্প অনুসারে করেছিলেন।
6 তিনি তাঁর রহমতের মহিমার প্রশংসার জন্যই তা করেছিলেন, যে রহমতে তিনি আমাদের সেই প্রিয়তমের দ্বারা রহমত দান করেছেন;
7 তাঁর মধ্যে আমরা তাঁর রক্ত দ্বারা মুক্তি পেয়েছি, অর্থাৎ আমাদের সকল অপরাধের মাফ হয়েছে; এসব তাঁর সেই মেহেরবানীরূপ ধন অনুসারে হয়েছে,
8 যা তিনি সমস্ত জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে আমাদের প্রতি উপচে পড়তে দিয়েছেন।
9 তাঁর সেই মঙ্গলময় সঙ্কল্প অনুসারে তিনি আমাদেরকে তাঁর ইচ্ছার নিগূঢ়তত্ত্ব জানিয়েছেন, যা তিনি মসীহে স্থির করে রেখেছিলেন।
10 আল্লাহ্ তাঁর নিরূপিত কালে এই পরিকল্পনা করেছিলেন যে, সমস্ত কিছুই তাঁতে সংগ্রহ করা যাবে— বেহেশতের সমস্ত কিছু ও দুনিয়ার সমস্ত কিছু।
11 এছাড়া, মসীহে আমরা একটি উত্তরাধিকারও লাভ করেছি, বাস্তবিক যিনি সমস্ত কিছুই তাঁর ইচ্ছা ও মন্ত্রণা অনুসারে সাধন করেন, তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে আমরা মসীহে আগে থেকেই নিরূপিত হয়েছিলাম;
12 উদ্দেশ্য এই যে, আগে থেকে মসীহে প্রত্যাশা করেছি যে আমরা, আমাদের দ্বারা যেন আল্লাহ্র মহিমার প্রশংসা হয়।
13 আর মসীহে তোমরাও সত্যের কালাম, তোমাদের নাজাতের ইঞ্জিল শুনে এবং তাঁর উপর ঈমান এনে সেই অঙ্গীকৃত পাক-রূহ্ দ্বারা তোমাদের সীলমোহর করা হয়েছ;
14 সেই রূহ্ আল্লাহ্র নিজস্ব লোকের মুক্তির জন্য, তাঁর মহিমার প্রশংসার জন্য আমাদের উত্তরাধিকারের বায়না হিসেবে দান করা হয়েছে।
15 এজন্য ঈসা মসীহে যে ঈমান এবং সমস্ত পবিত্র লোকের প্রতি যে মহব্বত তোমাদের মধ্যে আছে তার কথা শুনে,
16 আমিও তোমাদের জন্য শুকরিয়া আদায় করতে ক্ষান্ত হই না, আমার মুনাজাতের সময়ে তোমাদের কথা স্মরণ করি,
17 মুনাজাত করি, যেন আমাদের ঈসা মসীহের আল্লাহ্, মহিমার পিতা, তাঁর প্রজ্ঞার ও প্রত্যাদেশের রূহ্ তোমাদের দান করেন, যাতে তোমরা তাঁকে জানতে পার;
18 যাতে তোমাদের হৃদয়ের চোখ আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানতে পার তাঁর আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্র লোকদের মধ্যে তাঁর উত্তরাধিকারের মহিমারূপ ধন কি,
19 এবং আমরা যারা ঈমান এনেছি, আমাদের প্রতি তাঁর পরাক্রমের অনুপম মহত্ত্ব কি— এসবই তাঁর মহাশক্তির কাজ অনুসারে হয়েছে।
20 এই মহাশক্তি দ্বারা তিনি মসীহে কার্য-সাধন করেছেন, যখন তিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন এবং বেহেশতে নিজের ডান পাশে বসিয়েছেন,
21 সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তার সবকিছুর উপরে মসীহের নাম প্রতিষ্ঠিত করলেন।
22 আর তিনি সবকিছুই তাঁর পায়ের নিচে রাখলেন এবং তাঁকেই সকলের উপরে মস্তকস্বরূপ করে মণ্ডলীকে দান করলেন;
23 সেই মণ্ডলী তাঁর দেহ, তাঁরই পূর্ণতাস্বরূপ, যিনি সমস্ত বিষয়ে সমস্তই পূরণ করেন।