1 অতএব প্রিয় সন্তানের মত তোমরা আল্লাহ্র অনুকারী হও।
2 আর মহব্বতে চল, যেমন মসীহ্ তোমাদেরকে মহব্বত করলেন এবং আমাদের জন্য আল্লাহ্র উদ্দেশে নৈবেদ্য ও সৌরভযুক্ত কোরবানী হিসেবে নিজেকে কোরবানী করলেন।
3 কিন্তু পতিতাগমন ও সব রকম নাপাকীতা বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে শোনা না যায়; পবিত্র লোকদের পক্ষে এ সব উপযুক্ত নয়।
4 আর কুৎসিত ব্যবহার এবং বোকামি ও তামাশার কথাবার্তা যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, কিন্তু এর পরিবর্তে যেন শুকরিয়া দেওয়া হয়।
5 কেননা তোমরা নিশ্চয় জেনো যে, পতিতাগামী বা নাপাক বা লোভী, যাদের একরকম মূর্তিপূজক বলা যায় তাদের কেউই মসীহের ও আল্লাহ্র রাজ্যে অধিকার পায় না।
6 অনর্থক কথা দ্বারা কেউ যেন তোমাদের না ভুলায়; কেননা এসব দোষের জন্য অবাধ্যতার সন্তানদের উপরে আল্লাহ্র গজব নেমে আসে।
7 অতএব তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ো না;
8 কারণ তোমরা একসময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে আলো হয়েছ; আলোর সন্তানদের মত চল—
9 কেননা যা কিছু ভাল, ধর্মময় ও সত্য তার সমস্ত কিছুতে আলোর ফল দেখা যায়।
10 কিসে প্রভু প্রীত হন তা জানতে চেষ্টা কর।
11 আর অন্ধকারের ফলহীন কর্মকাণ্ডে কোন অংশ নিও না, বরং সেগুলোর দোষ দেখিয়ে দাও।
12 কেননা এ সব লোকেরা গোপনে যেসব কাজ করে তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
13 কিন্তু আলো দ্বারা দোষ দেখিয়ে দেওয়া হলে পর সমস্তই প্রকাশ হয়ে পড়ে;
14 বস্তুত যা প্রকাশ হয়ে পড়ে তা সমস্তই আলোময়। এজন্য পাক-কিতাবে লেখা আছে, “হে ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে ওঠ এবং মৃতদের মধ্য থেকে ওঠ, তাতে মসীহ্ তোমার উপরে আলো দান করবেন।”
15 সেজন্য তোমরা কিভাবে চলছো সেই বিষয়ে সাবধান হও; অজ্ঞানের মত না চলে জ্ঞানবানের মত চল;
16 বর্তমান সুযোগের সদ্ব্যবহার কর, কেননা এই কাল মন্দ।
17 এজন্য নির্বোধ হয়ো না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি তা বুুঝে নাও।
18 আর আঙ্গুর-রসে মাতাল হয়ো না, কারণ তাতে উচ্ছৃঙ্খলতা থাকে; কিন্তু পাক-রূহে পরিপূর্ণ হও;
19 জবুর শরীফের গজল, প্রশংসা-সংগীত ও রূহানিক কাওয়ালীর মধ্য দিয়ে পরস্পর আলাপ কর; নিজ নিজ অন্তঃকরণে বাদ্যের ঝঙ্কারে প্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর;
20 সব সময় সব কিছুর জন্য আমাদের ঈসা মসীহের নামে পিতা আল্লাহ্র শুকরিয়া কর;
21 মসীহের প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয়ে পরস্পরের প্রতি অনুগত হও।
22 তোমরা যারা স্ত্রী, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর অধীনতা স্বীকার কর।
23 কেননা স্বামী যেমন স্ত্রীর মাথা, মসীহ্ও তেমনি মণ্ডলীর মাথা— তাঁর দেহের নাজাতদাতা;
24 কিন্তু মণ্ডলী যেমন মসীহের বশীভূত, তেমনি স্ত্রীরা সমস্ত বিষয়ে নিজ নিজ স্বামীর বশীভূতা হোক।
25 তোমরা যারা স্বামী, তোমরা নিজ নিজ স্ত্রীকে মহব্বত কর, যেমন মসীহ্ও মণ্ডলীকে মহব্বত করলেন আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন;
26 যেন তিনি কালাম দ্বারা পানিতে ধুয়ে তাকে পাক-পবিত্র করেন,
27 যেন তিনি মহিমান্বিত অবস্থায় তাঁর নিজের কাছে মণ্ডলীকে উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা খুঁত বা এই রকম কোন কিছু না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও অনিন্দনীয় হয়।
28 এভাবে স্বামীরাও নিজ নিজ স্ত্রীকে নিজ নিজ দেহ বলে মহব্বত করতে বাধ্য। নিজের স্ত্রীকে যে মহব্বত করে, সে নিজেকেই মহব্বত করে।
29 কেউ তো কখনও নিজের দেহের প্রতি ঘৃণা করে না, বরং সকলে তার ভরণ-পোষণ ও লালন-পালন করে, যেমন মসীহ্ও মণ্ডলীর প্রতি করছেন;
30 কেননা আমরা তাঁর দেহের অংশ।
31 “এজন্য মানুষ তার পিতা-মাতাকে ত্যাগ করে তার স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং সেই দু’জন একাঙ্গ হবে।”
32 এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি মসীহ্ ও মণ্ডলীর উদ্দেশে এই কথা বললাম।
33 যাহোক, তোমরাও প্রত্যেকে নিজের মত করে নিজ নিজ স্ত্রীকে মহব্বত কর; আর স্ত্রীরও উচিত যেন সে স্বামীকে সম্মান করে।