1 কারণ আমি চাই যেন তোমরা জানতে পার যে, তোমাদের ও লায়দিকেয়াস্থ লোকদের জন্য ও যত লোক আমাকে সম্মুখাসম্মুখি দেখে নি, তাদের জন্য আমি কত দূর প্রাণপণ করছি।
2 আমি চাই যেন তাদের অন্তরে উৎসাহ পায়, তারা মহব্বতে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে জ্ঞানের নিশ্চয়তারূপ সমস্ত ধনে ধনী হয়ে উঠে, যেন আল্লাহ্র নিগূঢ়তত্ত্ব, অর্থাৎ মসীহ্কে জানতে পায়।
3 মসীহের মধ্যে জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত ধন গুপ্ত রয়েছে।
4 এই কথা বলছি, যেন কেউ মন ভুলানো যুক্তিতর্ক দিয়ে তোমাদেরকে না ভুলায়।
5 কেননা যদিও আমি দৈহিকভাবে অনুপস্থিত, তবুও রূহে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি এবং আনন্দ-পূর্বক তোমাদের সুশৃঙ্খলা ও মসীহে ঈমানরূপ সুদৃঢ় গাঁথুনি দেখতে পাচ্ছি।
6 অতএব তোমরা যেমন প্রভু মসীহ্ ঈসাকে গ্রহণ করেছ, তেমনি তাঁরই মধ্যে তোমরা জীবন-যাপন কর;
7 তাঁরই মধ্যে বদ্ধমূল ও দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যে শিক্ষা লাভ করেছ সেই অনুসারে ঈমানে দৃঢ় থাক এবং শুকরিয়া সহকারে উপ্চে পড়।
8 দেখো, দর্শন বিদ্যার অসার প্রতারণা দ্বারা কেউ যেন তোমাদেরকে বন্দী করে নিয়ে না যায়; তা মানুষের পরমপরাগত শিক্ষা থেকে আসে, জগতের নিষ্ফল রীতি-নীতি থেকে আসে, মসীহের কাছ থেকে আসে না।
9 কেননা মসীহের মধ্যেই আল্লাহ্র সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে;
10 এবং তোমরা তাঁরই মধ্যে পূর্ণতা পেয়েছ, যিনি সমস্ত আধিপত্যের ও কর্তৃত্বের মস্তক।
11 আর গুনাহ্-স্বভাব ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে তাঁরই মধ্যে তোমাদের খৎনা করানো হয়েছে, এই খৎনা কোন মানুষের হাতে করানো হয় নি, মসীহ্ নিজেই তা করেছেন।
12 ফলত তোমাদেরও বাপ্তিস্মের মধ্য দিয়ে মসীহের সঙ্গে দাফন করা হয়েছে এবং যিনি তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন সেই আল্লাহ্র শক্তির উপর ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমাদেরও মসীহের সঙ্গে উত্থাপিত করা হয়েছ।
13 আর তোমরা অপরাধে ও খৎনা না করার দরুন মৃত ছিলে, কিন্তু আল্লাহ্ তোমাদেরকে মসীহের সঙ্গে জীবিত করেছেন এবং আমাদের সমস্ত অপরাধ মাফ করেছেন;
14 যে আইনগত দাবী-দাওয়া আমাদের প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে ছিল তা মুছে ফেলেছেন। তিনি সেই দাবী-দাওয়া প্রেক দিয়ে ক্রুশে লটকিয়ে দূর করে দিয়েছেন।
15 আর তিনি আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকলের ক্ষমতা নষ্ট করে দিয়ে ক্রুশেই সেই সমস্তের উপরে বিজয়-যাত্রা করে তাদেরকে স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিলেন।
16 অতএব ভোজন বা পান, বা উৎসব, বা অমাবস্যা, বা বিশ্রামবার, এই সমস্ত বিষয়ে কেউ তোমাদের বিচার না করুক;
17 এসব তো আগামী বিষয়ের ছায়ামাত্র, কিন্তু আসল বস্তু মসীহের অধিকারেই আছে।
18 যারা নিজের শরীরকে কষ্ট দেয় ও ফেরেশতাদের এবাদত করে এমন কোন ব্যক্তি তোমাদেরকে বিজয়-মুকুট থেকে বঞ্চিত না করুক; সে যা যা দেখেছে বলে মনে করে সেগুলোতেই বিচরণ করে, নিজের মানবীয় মনের গর্বে বৃথা গর্বিত হয়,
19 কিন্তু সেই মাথাকে শক্ত করে ধরে রাখে না, যে মাথার পরিচালনায় সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন দ্বারা পরিপুষ্ট ও সংযুক্ত হয়ে আল্লাহ্র ইচ্ছাক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
20 তোমরা যখন দুনিয়ার নিষ্ফল রীতি-নীতির ছেড়ে মসীহের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছ, তখন কেন দুনিয়ার লোকদের মত এসব নিয়মের অধীন হচ্ছ,
21 যথা, ধরো না, আস্বাদ নিও না, স্পর্শ করো না?
22 সেসব বস্তু তো ব্যবহার করার দ্বারা ক্ষয় পাবার জন্যই হয়েছে। ঐ সমস্ত নিয়ম মানুষের বিবিধ হুকুম ও ধর্মসূত্র মাত্র।
23 জোরপূর্বক নিজেকে এবাদতে নিয়োজিত করা, কৃচ্ছ্রসাধন ও দেহের প্রতি নির্দয়তা— এই সমস্ত বিষয়গুলো দেখতে বেশ জ্ঞানে পূর্ণ মনে হয়, তবুও দৈহিক প্রবৃত্তি বশ করার ব্যপারে এগুলো কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়।