1 অতএব তোমরা যখন মসীহের সঙ্গে উত্থাপিত হয়েছ, তখন সেই ঊর্ধ্বস্থানের বিষয় চেষ্টা কর, যেখানে মসীহ্ আল্লাহ্র ডান পাশে বসে আছেন।
2 ঊর্ধ্বস্থ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দাও, দুনিয়ার বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিও না।
3 কেননা তোমরা তো মৃত্যুবরণ করেছ এবং তোমাদের জীবন মসীহের সঙ্গে আল্লাহ্তে গুপ্ত রয়েছে।
4 যিনি তোমাদের জীবনস্বরূপ সেই মসীহ্ যখন প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরাও তাঁর সঙ্গে মহিমায় প্রকাশিত হবে।
5 অতএব তোমাদের মধ্যে যে সমস্ত দুনিয়াবী বিষয় সকল রয়েছে তা ধ্বংস কর— যথা পতিতাগমন, নাপাকীতা, মোহ, কুঅভিলাষ এবং লোভ; এই সমস্ত তো এক রকম মূর্তিপূজা।
6 এই সকলের কারণে অবাধ্যতার সন্তানদের প্রতি আল্লাহ্র গজব উপস্থিত হয়।
7 আগে যখন তোমরা ঐ রকম জীবন-যাপন করতে তখন তোমরাও এই সকলের মধ্যে চলতে।
8 কিন্তু এখন তোমরাও এসব ত্যাগ কর— রাগ, ক্রোধ, হিংসা, নিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বের হওয়া কুৎসিত আলাপ।
9 এক জন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা বলো না; কেননা তোমরা পুরানো মানুষকে তার কাজসুদ্ধ কাপড়ের মত ত্যাগ করেছ,
10 এবং সেই নতুন মানুষকে পরেছ, যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে পূর্ণ জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে নতুনীকৃত হচ্ছে।
11 এই নতুনী-করণের মধ্যে গ্রীক বা ইহুদী, খৎনা-করানো বা খৎনা-না-করানো, বর্বর, স্কুথীয়, গোলাম বা স্বাধীন বলে আর কিছু নেই, কিন্তু মসীহ্ই সর্বেসর্বা আর তিনিই সমস্ত কিছুর মধ্যে আছেন।
12 অতএব তোমরা আল্লাহ্র মনোনীত জন, তাঁর পবিত্র ও প্রিয় লোক হিসেবে করুণার অন্তর, দয়ার ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
13 পরস্পর সহনশীল হও এবং যদি কাউকেও দোষ দেবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর মাফ কর; প্রভু যেমন তোমাদেরকে মাফ করেছেন, তোমরাও তেমনি মাফ কর।
14 আর এই সব গুণগুলোর উপরে মহব্বত পরিধান কর, যে মহব্বত ঐসব গুণগুলোকে একত্রে যথাযথ ঐক্যে বেঁধে রাখে।
15 আর মসীহের শান্তি তোমাদের অন্তরে কর্তৃত্ব করুক; তোমাদের তো তারই জন্য এক দেহে আহ্বান করা হয়েছে; আর কৃতজ্ঞ হও।
16 মসীহের কালাম প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় জবুর শরীফের গজল, প্রশংসা গজল ও রূহানিক গজল দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে নিজ নিজ অন্তরে আল্লাহ্র উদ্দেশে গজল গাও।
17 আর কথায় কি কাজে যা কিছু কর সমস্ত কিছুই প্রভু ঈসার নামে কর, তাঁর দ্বারা পিতা আল্লাহ্র শুকরিয়া করতে থাক।
18 স্ত্রীরা, তোমরা নিজ নিজ স্বামীর বশীভূতা হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত।
19 স্বামীরা, তোমরা নিজ নিজ স্ত্রীকে মহব্বত কর, তাদের প্রতি কটু ব্যবহার করো না।
20 সন্তানেরা, তোমরা সমস্ত বিষয়ে পিতা-মাতার বাধ্য হও, কেননা তা-ই প্রভুতে তুষ্টিজনক।
21 পিতারা, তোমরা নিজ নিজ সন্তানদেরকে ক্রুদ্ধ করো না, পাছে তাদের মনোভঙ্গ হয়।
22 গোলামেরা, যারা এই দুনিয়াতে তোমাদের প্রভু, তোমরা তাদের বাধ্য হও; চাক্ষুষ সেবা দ্বারা মানুষকে তুষ্ট করার মত নয়, কিন্তু অন্তঃকরণের সরলতায় প্রভুকে ভয় করে বাধ্য হও।
23 যা কিছু কর না কেন, মন-প্রাণ দিয়ে কাজ কর, মানুষের কাজ বলে নয়, কিন্তু প্রভুরই কাজ বলে কর;
24 কেননা তোমরা জান, প্রভুর কাছ থেকে তোমরা উত্তরাধিকাররূপ প্রতিদান পাবে; তোমরা প্রভু মসীহেরই সেবা করছো;
25 বস্তুত যে অন্যায় করে, সে তার অন্যায় কাজের প্রতিফল পাবে; আর প্রভু কারো মুখাপেক্ষা করেন না।