1 আর বেহেশতের মধ্যে একটি মহৎ চিহ্ন দেখা গেল। একটি স্ত্রীলোক ছিল, সূর্য তার পরিচ্ছদ ও চন্দ্র তার পায়ের নিচে এবং তার মাথার উপরে বারোটি তারার একটি মুকুট।
2 সে গর্ভবতী আর ব্যথায় চিৎকার করছে, সন্তান প্রসবের জন্য ব্যথা খাচ্ছে।
3 আর বেহেশতের মধ্যে আর একটি চিহ্ন দেখা গেল, দেখ, এক প্রকাণ্ড লাল রংয়ের নাগ, তার সাতটি মাথা ও দশটি শিং এবং সাতটি মাথায় সাতটি রাজমুকুট,
4 আর তার লেজ আসমানের এক তৃতীয়াংশ নক্ষত্র আকর্ষণ করে দুনিয়াতে নিক্ষেপ করলো। যে স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করতে উদ্যত, সেই নাগ তার সম্মুখে দাঁড়াল যেন সে প্রসব করবামাত্র তার সন্তানকে গ্রাস করতে পারে।
5 পরে সেই স্ত্রীলোক “একটি পুত্র-সন্তান প্রসব করলো; যিনি লোহার দণ্ড দ্বারা সমস্ত জাতিকে শাসন করবেন।” আর তার সন্তানটি আল্লাহ্ ও তাঁর সিংহাসনের কাছে নীত হলেন।
6 আর সেই স্ত্রীলোকটি মরুভূমিতে পালিয়ে গেল; সেখানে এক হাজার দুই শত ষাট দিন পর্যন্ত প্রতিপালিত হবার জন্য আল্লাহ্ কর্তৃক প্রস্তুত তার একটি স্থান আছে।
7 আর বেহেশতে যুদ্ধ হল; মিকাইল ও তাঁর ফেরেশতারা ঐ নাগের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগলেন। তাতে সেই নাগ ও তার দূতেরাও যুদ্ধ করলো,
8 কিন্তু জয়ী হল না এবং বেহেশতে তাদের স্থান আর পাওয়া গেল না।
9 আর সেই মহানাগকে ফেলে দেওয়া হল; এই সেই পুরানো সাপ, যাকে ইবলিস [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা হয়, সে সমস্ত দুনিয়াকে বিপথে নিয়ে যায়। তাকে দুনিয়াতে ফেলে দেওয়া হল এবং তার দূতদেরও তার সঙ্গে ফেলে দেওয়া হল।
10 তখন আমি বেহেশত থেকে জোরে জোরে এই কথা বলতে শুনলাম,‘এখন নাজাত ও পরাক্রম ও আমাদের আল্লাহ্র রাজ্যএবং তাঁর মসীহের কর্তৃত্ব উপস্থিত হল;কেননা আমাদের ভাইদের উপরে যে দোষারোপকারী,যে দিনরাত আমাদের আল্লাহ্র সম্মুখে তাদের নামে দোষারোপ করে,সে নিপাতিত হল।
11 আর মেষশাবকের রক্ত দ্বারা এবং নিজ নিজ সাক্ষ্য দ্বারা,তারা তাকে জয় করেছে;আর তারা মৃত্যু পর্যন্ত নিজ নিজ প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নি।
12 অতএব, হে বেহেশত ও বেহেশত-বাসীরা, আনন্দ কর; দুনিয়া ও সমুদ্রের সন্তাপ হবে; কেননা শয়তান তোমাদের কাছে নেমে গেছে; সে অতিশয় রাগান্বিত, সে জানে, তার কাল সংক্ষিপ্ত।’
13 পরে যখন ঐ নাগ দেখলো, তাকে দুনিয়াতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তখন যে স্ত্রীলোকটি পুত্র-সন্তানটি প্রসব করেছিল, সে সেই স্ত্রীলোকটির প্রতি তাড়না করতে লাগল।
14 তখন সেই স্ত্রীলোকটিকে মস্ত বড় ঈগল পাখির দু’টি পাখা দেওয়া হল, যেন সে মরুভূমিতে, নিজের স্থানে উড়ে যায়, যেখানে ঐ নাগের দৃষ্টি থেকে দূরে ‘এক কাল ও দুই কাল ও অর্ধেক কাল’ পর্যন্ত সে প্রতিপালিত হয়।
15 পরে সেই সাপ তার মুখ থেকে স্ত্রীলোকটির পিছনে নদীর মত পানির স্রোত বমি করে ফেলে দিল যেন তাকে পানির স্রোতে ভাসিয়ে দিতে পারে।
16 আর দুনিয়া সেই স্ত্রীলোকটিকে সাহায্য করলো, দুনিয়া আপন মুখ খুলে নাগের মুখ থেকে মুখনিঃসৃত নদী গ্রাস করলো।
17 আর সেই স্ত্রীলোকটির প্রতি নাগ ভীষণ ক্রুদ্ধ হল, আর তার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সঙ্গে যারা আল্লাহ্র হুকুম পালন ও ঈসার সাক্ষ্য ধারণ করে, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেল।
18 আর সে সমুদ্রের বালুকণার উপরে দাঁড়ালো।