1 তারপর আমি দেখলাম, দুনিয়ার চার কোণে চার জন ফেরেশতা দাঁড়িয়ে আছেন, তারা দুনিয়ার চার কোণের বায়ু ধরে রাখছেন, যেন দুনিয়া কিংবা সাগরে কিংবা কোন গাছের উপরে বায়ু প্রবাহিত না হয়।
2 পরে দেখলাম, আর এক জন ফেরেশতা সূর্যের উদয় স্থান থেকে উঠে আসছেন, তাঁর কাছে জীবন্ত আল্লাহ্র সীলমোর আছে; তিনি চিৎকার করে ডেকে, যে চার জন ফেরেশতাকে দুনিয়া ও সমুদ্রের ক্ষতি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদেরকে বললেন,
3 আমরা যে পর্যন্ত আমাদের আল্লাহ্র গোলামদের ললাটে সীলমোহর না দিই, সেই পর্যন্ত তোমরা দুনিয়া কিংবা সমুদ্র কিংবা গাছগুলোর কোন ক্ষতি করো না।
4 পরে আমি ঐ সীলমোহর করা লোকদের সংখ্যা শুনলাম; বনি-ইসরাইলদের সমস্ত বংশের এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোককে সীলমোহর করা হয়েছিল।
5 এহুদা-বংশের বারো হাজার লোককে সীলমোহর করা হয়েছিল;রূবেণ-বংশের বারো হাজার;গাদ-বংশের বারো হাজার;
6 আশের-বংশের বারো হাজার;নপ্তালি-বংশের বারো হাজার;মানশা-বংশের বারো হাজার;
7 শিমিয়োন-বংশের বারো হাজার;লেবি-বংশের বারো হাজার;ইষাখর-বংশের বারো হাজার;
8 সবূলূন-বংশের বারো হাজার;ইউসুফ-বংশের বারো হাজার;বিন্ইয়ামীন-বংশের বারো হাজার লোককে সীলমোহর করাহয়েছিল।
9 এর পরে আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতি, বংশ ও লোকবৃন্দ ও ভাষার অনেক লোক, তাদের গণনা করতে সমর্থ কেউ ছিল না; তারা সিংহাসন ও মেষশাবকের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে; তারা সাদা কাপড় পরা ও তাদের হাতে খেজুরের পাতা;
10 এবং তারা জোরে চিৎকার করে বলছে, ‘নাজাত আমাদের আল্লাহ্র, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন এবং মেষশাবকের দান।’
11 আর ফেরেশতা সকলেই সিংহাসন ও প্রাচীনদের ও চার জন প্রাণীর চারদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন; তাঁরা সিংহাসনের সম্মুখে অধোমুখে ভূমিতে উবুড় হয়ে আল্লাহ্র এবাদত করে বললেন,
12 ‘আমিন; শুকরিয়া ও গৌরব ও জ্ঞান ও প্রশংসা ও সমাদর ও পরাক্রম ও শক্তি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে আমাদের আল্লাহ্র প্রতি বর্তুক। আমিন।’
13 পরে প্রাচীনদের মধ্যে এক জন আমাকে বললেন, সাদা কাপড় পরা এই লোকেরা কে ও কোথা থেকে আসল?
14 আমি তাঁকে বললাম, হে আমার প্রভু, তা আপনিই জানেন। তিনি আমাকে বললেন, এরা সেই লোক, যারা সেই মহাকষ্টের মধ্য থেকে এসেছে এবং মেষশাবকের রক্তে নিজ নিজ কাপড় ধুয়ে সাদা করেছে।
15 এজন্য এরা আল্লাহ্র সিংহাসনের সম্মুখে আছে; এবং তারা দিনরাত তাঁর এবাদতখানায় তাঁর এবাদত করে, আর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তিনি এদের উপরে তাঁর তাঁবু খাটাবেন।
16 “এরা আর কখনও ক্ষুধিত হবে না, আর কখনও তৃষ্ণার্তও হবে না এবং এদের কোন রৌদ্র বা কোন উত্তাপ লাগবে না;
17 কারণ সিংহাসনের মধ্যস্থিত মেষ-শাবক এদেরকে পালন করবেন এবং জীবন-পানির ফোয়ারার কাছে নিয়ে যাবেন, আর আল্লাহ্ এদের চোখের সমস্ত পানি মুছে দেবেন।