1 “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি যদি তোমাদের পূর্ণ বাধ্যতা থাকে এবং আজ আমি তাঁর যে সব আদেশ তোমাদের দিচ্ছি তা যদি তোমরা যত্নের সংগে পালন কর, তবে তিনি পৃথিবীর অন্য সব জাতির উপরে তোমাদের স্থান দেবেন।
2 তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাধ্য হও তবে এই সব আশীর্বাদ তোমরা পাবে আর তা তোমাদের সংগে থাকবে:
3 তোমাদের বাসস্থান ও ক্ষেত-খামারের সব কিছুতে তোমরা আশীর্বাদ পাবে।
4 তোমরা আশীর্বাদ পাবে যার ফলে তোমাদের পরিবারের অনেক সন্তান, ক্ষেতে প্রচুর ফসল এবং পালের গরু-ছাগল-ভেড়ার অনেক বাচ্চা হবে।
5 তোমাদের ফসলের ঝুড়ি ও ময়দা ঠাঁসবার পাত্র আশীর্বাদ পাবে।
6 প্রতিদিনকার জীবনে তোমরা আশীর্বাদ পাবে।
7 “যারা শত্রু হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তারা তোমাদের কাছে হেরে যায়। তারা এক দিক দিয়ে তোমাদের আক্রমণ করতে এসে সাত দিক দিয়ে পালিয়ে যাবে।
8 “তোমাদের গোলাঘরের উপর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ থাকবে এবং যে কাজে তোমরা হাত দেবে তাতেই তিনি আশীর্বাদ করবেন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর দেওয়া দেশে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।
9 “যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশগুলো পালন কর এবং তাঁর পথে চল তবে তিনি তাঁর শপথ করে প্রতিজ্ঞা অনুসারে, তাঁর আলাদা করা জাতি হিসাবে তোমাদের দাঁড় করাবেন।
10 তখন পৃথিবীর সমস্ত জাতি দেখতে পাবে যে, সদাপ্রভুর নামেই তোমাদের পরিচয়, আর তাতে তারা তোমাদের ভয় করে চলবে।
11 যে দেশটা তোমাদের দেবেন বলে সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলেন সেই দেশে তিনি তোমাদের প্রচুর দান করবেন, অর্থাৎ তিনি তোমাদের পরিবারে অনেক ছেলেমেয়ে, পশুপালে অনেক বাচ্চা ও ক্ষেতে অনেক ফসল দেবেন।
12 “তোমাদের দেশে সময়মত বৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করবার জন্য সদাপ্রভু তাঁর দানের ভাণ্ডার, অর্থাৎ আকাশ খুলে দেবেন। তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দিতে পারবে, কিন্তু কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না।
13 সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তোমরা সকলের মাথার উপরে থাক, পায়ের তলায় নয়। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যে সব আদেশ আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তাতে যদি তোমরা কান দাও এবং যত্নের সংগে তা পালন কর, তবে সব সময় তোমাদের স্থান থাকবে উপরে, নীচে নয়।
14 আজ আমি তোমাদের যে সব আদেশ দিচ্ছি, দেব-দেবতার পিছনে গিয়ে এবং তাদের পূজা করে তোমরা তা থেকে এদিক ওদিক সরে যাবে না।
15 “কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথায় কান না দাও এবং আজকের দেওয়া আমার এই সব আদেশ ও নিয়ম যত্নের সংগে পালন না কর, তবে এই সব অভিশাপ তোমাদের উপর নেমে আসবে এবং তোমাদের সংগে থাকবে:
16 তোমাদের বাসস্থান ও ক্ষেত-খামারের সব কিছুতে তোমরা অভিশপ্ত হবে।
17 তোমাদের ফসলের ঝুড়ি ও ময়দা ঠাঁসবার পাত্র অভিশপ্ত হবে।
18 তোমরা অভিশপ্ত হবে যার ফলে তোমাদের পরিবারে কম ছেলেমেয়ে, ক্ষেতে কম ফসল এবং পালের গরু, ছাগল ও ভেড়ার কম বাচ্চা হবে।
19 প্রতিদিনকার জীবনে তোমরা অভিশপ্ত হবে।
20 “মন্দ কাজ করে সদাপ্রভুকে ত্যাগ করবার অপরাধে তোমাদের সমস্ত কাজে তিনি তোমাদের অভিশাপ দেবেন, বিশৃঙ্খলায় ফেলবেন আর তিরস্কার করবেন, যার ফলে তোমরা ক্ষয় হতে হতে অল্প সময়ের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
21 তোমরা যে দেশ দখল করতে যাচ্ছ সদাপ্রভু সেখানে এমন করবেন যাতে তোমাদের মধ্যে মড়ক লেগেই থাকে আর শেষ পর্যন্ত তোমরা দেশ থেকে একেবারে শেষ হয়ে যাও।
22 ক্ষয় রোগ, তিন রকমের মারাত্মক জ্বর, যুদ্ধ, গরম শুকনা বাতাস এবং ছাৎলা- এই সব সদাপ্রভু তোমাদের উপর নিয়ে আসবেন এবং তোমাদের কষ্ট দেবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও।
23 তোমাদের মাথার উপরের আকাশ হবে ব্রোঞ্জের মত শক্ত, আর পায়ের তলার মাটি হবে লোহার মত শক্ত।
24 সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তোমাদের দেশে বৃষ্টির বদলে আকাশ থেকে ধূলা আর বালি পড়ে। সেগুলো তোমাদের উপর পড়বে যতক্ষণ না তোমরা শেষ হয়ে যাও।
25 “সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তোমরা তোমাদের শত্রুদের সামনে হেরে যাও। তোমরা এক দিক দিয়ে তাদের আক্রমণ করবে কিন্তু তাদের সামনে থেকে পালিয়ে যাবে সাত দিক দিয়ে। পৃথিবীর অন্য সব রাজ্যের লোকেরা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে।
26 তোমাদের মৃতদেহ হবে আকাশের পাখী এবং পৃথিবীর পশুদের খাবার, আর তাদের তাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না।
27 সদাপ্রভু মিসরীয়দের সেই ফোড়া, আব, চুলকানি আর পাঁচড়া দিয়ে তোমাদের কষ্ট দেবেন যা থেকে কেউ তোমাদের ভাল করতে পারবে না।
28 তিনি পাগলামি ও অন্ধতা দিয়ে এবং চিন্তাশক্তি নষ্ট করে দিয়ে তোমাদের আরও কষ্ট দেবেন।
29 অন্ধ লোক যেমন অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায় তেমনি করে তোমরা দিনের বেলাতেই হাতড়ে বেড়াবে; তোমাদের কোন কাজই সফল হবে না। তোমাদের উপর সব সময় অত্যাচার আর লুট চলবে; তা থেকে তোমাদের উদ্ধার করবার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না।
30 “যে স্ত্রীলোকের সংগে তোমার বিয়ে ঠিক হবে অন্য লোকে তার ইজ্জত নষ্ট করবে। তোমরা বাড়ী তৈরী করবে কিন্তু তাতে থাকতে পারবে না। তোমরা আংগুর ক্ষেত করবে কিন্তু তার ফল মুখে দিতে পারবে না।
31 তোমাদের চোখের সামনেই তোমাদের গরু কাটা হবে, কিন্তু তার এক টুকরা মাংসও তোমাদের পেটে যাবে না। তোমাদের গাধাকে জোর করে তোমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু তা আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। তোমাদের ভেড়া তোমাদের শত্রুদের হাতে গিয়ে পড়বে; আর এই বিপদে তোমাদের উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসবে না।
32 তোমাদের ছেলেমেয়েরা অন্য জাতির হাতে পড়বে। দিনের পর দিন তাদের আসবার পথ চেয়ে তোমাদের চোখ অন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু কিছু করবার শক্তি তোমাদের হাতে থাকবে না।
33 তোমাদের অচেনা জাতির লোকেরা তোমাদের জমির ফসল ও পরিশ্রমের ফল ভোগ করবে আর তোমাদের সারাটা জীবন ধরে তোমরা কেবল অত্যাচার ও খারাপ ব্যবহার ভোগ করবে।
34 তোমরা যা দেখবে তা তোমাদের পাগল করে দেবে।
35 সদাপ্রভু তোমাদের হাঁটুতে ও পায়ে এমন সব বিষফোড়া দিয়ে কষ্ট দেবেন যা কখনও ভাল হবে না। সেই ফোড়া তোমাদের পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত সব জায়গায় হবে।
36 “যাকে তোমরা রাজা করে তোমাদের উপরে বসাবে সদাপ্রভু তাকে এবং তোমাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন এক জাতির হাতে ফেলবেন যাকে তোমরাও জান না এবং তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও জানত না। সেখানে তোমরা কাঠ আর পাথরের দেবমূর্তির পূজা করবে।
37 সদাপ্রভু তোমাদের যে সব জাতির মধ্যে তাড়িয়ে দেবেন তারা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে, আর তারা তোমাদের ঠাট্টা-তামাশা করবে ও কটুকথায় বিঁধবে।
38 “তোমরা বুনবে অনেক কিন্তু কাটবে কম, কারণ পংগপালে ফসল খেয়ে ফেলবে।
39 তোমরা আংগুর ক্ষেত করবে এবং তার যত্নও নেবে কিন্তু পোকায় তার ফল খেয়ে ফেলবে বলে তোমরা তা তুলতেও পারবে না কিম্বা তার রসও খেতে পারবে না।
40 তোমাদের সারা দেশে জলপাই গাছ থাকবে কিন্তু তার ফল ঝরে পড়ে যাবে বলে জলপাই তেল মাখা তোমাদের হবে না।
41 যে সব ছেলেমেয়ে তোমাদের হবে তারা তোমাদের কাছে থাকবে না, কারণ তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে।
42 ঝাঁকে ঝাঁকে পংগপাল এসে তোমাদের দেশের গাছ-গাছড়া ও ফসল খেয়ে ফেলবে।
43 “তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্যান্য জাতির লোকেরা তোমাদের উপরে উঠতে থাকবে আর তোমরা নামতে থাকবে তাদের নীচে।
44 তারাই তোমাদের ঋণ দেবে কিন্তু তোমরা তাদের ঋণ দিতে পারবে না। তারা থাকবে তোমাদের মাথার উপরে আর তোমরা থাকবে তাদের পায়ের তলায়।
45 “এই সব অভিশাপ তোমাদের উপরে নেমে আসবে। তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাধ্য না হওয়ার দরুন এবং তিনি যে সব আদেশ ও নিয়ম দিয়েছেন তা পালন না করবার দরুন এই সব অভিশাপ তোমাদের পিছনে তাড়া করে আসবে ও তোমাদের ধরে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
46 এই অভিশাপগুলো আশ্চর্য চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ হিসাবে তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের উপর চিরকাল থাকবে।
47-48 সুদিনে খুশী মনে এবং আনন্দের সংগে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা না করবার দরুন খাওয়া-পরার অভাব, পিপাসা আর ভীষণ অভাবের মধ্যে তোমরা সেই সব শত্রুর সেবা করবে যাদের সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দেবেন। তিনি তোমাদের ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়ে রাখবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও।
49 “সদাপ্রভু দূর থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে এমন এক জাতিকে তোমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবেন যাদের ভাষা তোমরা বুঝবে না। ঈগল পাখীর মত করে সেই জাতি ছোঁ মেরে তোমাদের উপর নেমে আসবে।
50 তারা হবে ভীষণ চেহারার লোক। তারা বুড়োদের সম্মান করবে না আর ছেলেমেয়েদের দয়ামায়া করবে না।
51 তারা তোমাদের পশুর বাচ্চা ও ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা তোমাদের জন্য কোন ফসল, নতুন আংগুর-রস কিম্বা তেল কিম্বা গরুর বাছুর বা ভেড়ার বাচ্চা বাকী রাখবে না, আর শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
52 তারা তোমাদের গ্রাম ও শহরগুলো ঘেরাও করে রাখবে, আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের উঁচু ও শক্ত দেয়ালগুলো ভেংগে পড়বে যার উপর তোমরা এত ভরসা করছ। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের সমস্ত গ্রাম ও শহর তারা ঘেরাও করবে।
53 “সেগুলো ঘেরাও করে রাখবার সময় শত্রুরা তোমাদের এমন কষ্টে ফেলবে যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সন্তানদেরই খাবে, অর্থাৎ তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া ছেলেমেয়েদের মাংস খাবে।
54 তখন তোমাদের মধ্যে যে লোক কোমল স্বভাবের আর ভাল অবস্থায় মানুষ হয়েছে, তার অন্তরও এমন হবে যে, নিজের ভাইয়ের প্রতি, কিম্বা প্রিয় স্ত্রীর প্রতি, কিম্বা জীবিত ছেলেমেয়েদের প্রতি তার কোন দয়ামায়া থাকবে না।
55 যে সন্তানের মাংস সে খাবে তার একটুও সে তাদের দেবে না, কারণ শত্রুরা যখন তোমাদের গ্রাম বা শহর ঘেরাও করে রেখে তোমাদের কষ্টে ফেলবে তখন এছাড়া আর কোন খাবারই তার কাছে থাকবে না।
56 তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক কোমল স্বভাবের এবং এমন ভাল অবস্থায় মানুষ হয়েছে যে তাকে কোন দিন মাটিতে পা ফেলতে হয় নি, তারও তার প্রিয় স্বামী ও ছেলেমেয়েদের প্রতি কোন দয়ামায়া থাকবে না।
57 সন্তান জন্মের পর সেই সন্তান এবং তার পরে দেহ থেকে বের হয়ে আসা ফুল, এর কোনটাই সে তাদের খেতে দেবে না। তোমাদের ঘেরাও করে রাখবার সময় তোমাদের শত্রুরা যখন তোমাদের কষ্টে ফেলবে তখন সে নিজেই সেই ফুল ও সন্তান চুপিচুপি খাবে।
58 “এই বইয়ে যে সব আইন-কানুন লেখা রয়েছে তা যদি তোমরা যত্নের সংগে মেনে না চল, অর্থাৎ ‘তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু’ বলে তাঁর এই যে গৌরবপূর্ণ ও ভয় জাগানো নামটি রয়েছে যদি তোমরা সেই নামের সম্মান না কর,
59 তবে সদাপ্রভু তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের উপর এমন সব ভীষণ ও অদ্ভুত রকমের আঘাত ও কষ্ট দেওয়া রোগ নিয়ে আসবেন যা অনেক দিন ধরে চলবে।
60 মিসর দেশে যে সব রোগ দেখে তোমরা ভয় পেতে, তিনি সেই সবই তোমাদের উপর আনবেন আর সেগুলো তোমাদের ছাড়বে না।
61 এছাড়া সদাপ্রভু এমন সব রোগ ও আঘাত তোমাদের উপর আনবেন যার কথা এই আইন-কানুনের বইয়ের মধ্যে লেখা নেই, আর শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
62 তোমাদের লোকসংখ্যা আকাশের তারার মত হলেও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি অবাধ্যতার দরুন তোমরা তখন মাত্র অল্প কয়েকজনই বেঁচে থাকবে।
63 যে আনন্দে সদাপ্রভু তোমাদের মংগল করেছেন ও তোমাদের লোকসংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছেন সেই আনন্দে তখন তিনি তোমাদের ধ্বংস করে শেষ করে দেবেন। যে দেশ তোমরা দখল করতে যাচ্ছ সেই দেশ থেকে শিকড় সুদ্ধ তোমাদের তুলে ফেলা হবে।
64 “তারপর সদাপ্রভু পৃথিবীর এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন। তোমরা সেখানে তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের অজানা কাঠের ও পাথরের দেবমূর্তির পূজা করবে।
65 সেই সব জাতির মধ্যে তোমরা শান্তি পাবে না, আর তোমাদের বিশ্রাম করবার নিজের কোন জায়গা থাকবে না। সেখানে সদাপ্রভু তোমাদের মন দুশ্চিন্তায় ভরে তুলবেন এবং আশা করে চেয়ে থাকা চোখ তোমাদের ক্লান্ত করে তুলবেন, আর তোমাদের অন্তর নিরাশায় ভরে দেবেন।
66 কি হবে না হবে এই ভাবটা তোমাদের পেয়ে বসবে; আর দিনরাত ভয়-ভরা অন্তরে তোমরা বেঁচে থাকা সম্বন্ধে কখনও নিশ্চিত হতে পারবে না।
67 তোমরা সকালবেলা বলবে, ‘সন্ধ্যা হোক,’ আর সন্ধ্যাবেলা বলবে, ‘সকাল হোক,’ কারণ তোমাদের অন্তর ভয়ে ভরা থাকবে আর চোখ অনেক কিছু দেখবে।
68 মিসরে যাওয়া সম্বন্ধে আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, সেই পথে আর কখনও তোমাদের পা দিতে হবে না; কিন্তু সদাপ্রভু তখন জাহাজ ভরে ভরে তোমাদের মিসরে ফেরৎ পাঠাবেন। সেখানে তোমরা দাস ও দাসী হিসাবে শত্রুদের কাছে নিজেদের বিক্রি করতে চাইবে কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।”