32 “ঈশ্বর পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করবার পর থেকে তোমাদের সময়কার অনেক আগের দিনগুলোতে তোমরা খুঁজে দেখ; আকাশের এক দিক থেকে অন্য দিক পর্যন্ত খুঁজে দেখ যে, যা যা ঘটেছে তার মত মহান আর কিছু ঘটেছে কি না, কিম্বা তার মত আর কোন কিছুর কথা শোনা গেছে কি না,
33 কিম্বা তোমাদের মত করে অন্য কোন জাতির লোক আগুনের মধ্য থেকে ঈশ্বরকে কথা বলতে শুনে বেঁচে আছে কি না।
34 তোমরা খুঁজে দেখ যে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের চোখের সামনে মিসর দেশে তোমাদের জন্য যা করেছিলেন কোন দেবতা কখনও সেইভাবে পরীক্ষা দ্বারা, আশ্চর্য কাজ ও চিহ্ন দ্বারা, যুদ্ধ দ্বারা, কঠোর ও শক্তিশালী হাত দ্বারা এবং মহান ও ভয় জাগানো কাজ দ্বারা কোন জাতিকে অন্য জাতির মধ্য থেকে নিজের জন্য বের করে এনেছে কি না।
35 “তোমরা যাতে জানতে পার যে, সদাপ্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই, সেইজন্যই এই সব তোমাদের দেখানো হয়েছিল।
36 তোমাদের তাঁর শাসনের আওতায় আনবার জন্য তিনি স্বর্গ থেকে তাঁর স্বর তোমাদের শুনতে দিয়েছিলেন আর পৃথিবীতে দেখিয়েছিলেন তাঁর মহান আগুন, আর সেই আগুনের মধ্য থেকে তোমরা তাঁর কথা শুনতে পেয়েছিলে।
37 তিনি তোমাদের পূর্বপুরুষদের ভালবাসতেন এবং তাঁদের পরে তাঁদের বংশধরদের বেছে নিয়েছেন। সেইজন্য তিনি নিজে উপস্থিত থেকে তাঁর মহাশক্তি দ্বারা মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।
38 তিনি তা করেছেন যাতে তোমাদের চেয়েও বড় এবং শক্তিশালী জাতিগুলোকে তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের দেশে তোমাদের নিয়ে যেতে পারেন এবং সম্পত্তি হিসাবে তা তোমাদের দিতে পারেন; আর আজ তা-ই হয়েছে।