1 হখলিয়ের ছেলে নহিমিয়ের কথা।রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের বিশ বছরের কিশ্লেব মাসে আমি শূশন রাজধানীতে ছিলাম।
2 হনানি নামে আমার ভাইদের মধ্যে একজন এবং যিহূদার অন্য কয়েকজন লোক শূশনে আসল। বাবিলে বন্দীদশা থেকে যারা ফিরে গিয়েছিল সেই লোকদের বিষয় ও যিরূশালেমের বিষয় আমি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম।
3 তারা আমাকে বলল, “বন্দীদশা থেকে যারা দেশে ফিরে গিয়েছে তারা খুব দুরবস্থার ও অসম্মানের মধ্যে আছে। যিরূশালেমের দেয়াল ভেংগে গেছে এবং তার ফটকগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
4 এই সব কথা শুনে আমি বসে কাঁদতে লাগলাম। কিছুদিন ধরে আমি শোক ও উপবাস করলাম এবং স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম।
5 তারপর আমি বললাম, “হে স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ভয় জাগানো মহান ঈশ্বর, যারা তোমাকে ভালবাসে ও তোমার আদেশ পালন করে তুমি তাদের জন্য অটল ভালবাসার ব্যবস্থা রক্ষা করে থাক।
6 হে সদাপ্রভু, মিনতি করি, তোমার দাসদের জন্য, অর্থাৎ ইস্রায়েলীয়দের জন্য আমি তোমার দাস তোমার সামনে দিনরাত যে প্রার্থনা করছি তা তুমি শোন ও তাতে মনোযোগ দাও। আমরা ইস্রায়েলীয়েরা তোমার বিরুদ্ধে যে সব পাপ করেছি তা আমি স্বীকার করছি। সত্যিই আমি ও আমার বাবার বংশের লোকেরা পাপ করেছি।
7 আমরা তোমার বিরুদ্ধে খুবই অন্যায় কাজ করেছি। তোমার দাস মোশিকে তুমি যে সব আদেশ, নিয়ম ও আইন-কানুন দিয়েছ তা আমরা পালন করি নি।
8 “মিনতি করি, তোমার দাস মোশিকে তুমি যে নির্দেশ দিয়েছিলে তা মনে করে দেখ। তুমি বলেছিলে, ‘তোমরা যদি অবিশ্বস্ত হও তবে আমি অন্য জাতিদের মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেব;
9 কিন্তু তোমরা আমার কাছে ফিরে আসলে এবং আমার আদেশ পালন করে সেইমত কাজ করলে, তোমাদের বন্দীদশায় থাকা লোকেরা যদি আকাশের শেষ সীমায়ও থাকে তবে আমি তাদের সেখান থেকে জোগাড় করে আমার বাসস্থান হিসাবে যে জায়গা বেছে নিয়েছি সেখানে তাদের নিয়ে আসব।’
10 “এরা তোমারই দাস এবং তোমারই লোক, যাদের তুমি তোমার মহাশক্তিতে ও শক্তিশালী হাতে মুক্ত করেছ।
11 হে প্রভু, মিনতি করি, তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে এবং যারা তোমার নাম ভক্তির সংগে স্মরণ করে তোমার সেই দাসদের প্রার্থনাতে তুমি কান দাও। তোমার দাসকে আজ সফলতা দান কর এবং এই রাজার কাছে করুণার পাত্র কর।”আমি রাজার আংগুর-রস পরিবেশনকারী ছিলাম।