27 এদিকে ইস্রায়েলীয়দের জড়ো করা হল। তাদের খাবার-দাবার যোগান দেবার ব্যবস্থা করা হলে পর তারাও অরামীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বেরিয়ে গেল। ইস্রায়েলীয়েরা অরামীয়দের সামনের দিকে তাদের ছাউনি ফেলল। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল ছোট দু’টা ছাগলের পাল, আর এদিকে অরামীয়েরা গোটা দেশটা জুড়ে রইল।
28 তখন ঈশ্বরের একজন লোক এসে ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘অরামীয়েরা মনে করছে সদাপ্রভু পাহাড়ের ঈশ্বর, উপত্যকার ঈশ্বর নন; সেইজন্য আমি এই বিরাট সৈন্যদলকে তোমার হাতে তুলে দেব, আর এতে তোমরা জানতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু।’ ”
29 সাত দিন পর্যন্ত তারা একে অন্যের সামনাসামনি ছাউনি ফেলে রইল। তারপর সপ্তম দিনে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ইস্রায়েলীয়েরা এক দিনেই এক লক্ষ অরামীয় পদাতিক সৈন্য মেরে ফেলল।
30 বাদবাকী সৈন্যেরা অফেকে পালিয়ে গেল আর সেখানে তাদের সাতাশ হাজার সৈন্যের উপরে দেয়াল ধ্বসে পড়ল। বিন্হদদ সেখানে পালিয়ে গিয়ে বাড়ীর ভিতরের একটা কামরায় লুকিয়ে রইলেন।
31 বিন্হদদের কর্মচারীরা তাঁকে বলল, “দেখুন, আমরা শুনেছি যে, ইস্রায়েলের রাজারা দয়ালু। চলুন, আমরা কোমরে চট পরে আর মাথায় দড়ির বিড়া বেঁধে ইস্রায়েলের রাজার কাছে যাই। হয়তো তিনি আপনার প্রাণ রক্ষা করবেন।”
32 তাঁরা কোমরে চট পরে ও মাথায় দড়ির বিড়া বেঁধে ইস্রায়েলের রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “আপনার দাস বিন্হদদ বলছেন যে, আপনি যেন দয়া করে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখেন।”উত্তরে রাজা বললেন, “তিনি কি এখনও জীবিত আছেন? তিনি আমার ভাই।”
33 সেই লোকেরা এটাকে ভাল লক্ষণ মনে করে তাড়াতাড়ি করে তাঁর কথা ধরে বলল, “হ্যাঁ, বিন্হদদ নিশ্চয়ই আপনার ভাই।”রাজা বললেন, “আপনারা গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসুন।” বিন্হদদ বের হয়ে আসলে পর আহাব তাঁকে তাঁর রথে তুলে নিলেন।