14 এর আগে ইলীশায় অসুখে পড়েছিলেন এবং সেই অসুখেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার আগে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, “হে আমার পিতা, আমার পিতা, রথ আর ঘোড়সওয়ারদের মত আপনি ইস্রায়েলের রক্ষাকারী।”
15-16 সেই সময় ইলীশায় তাঁকে বললেন, “আপনি তীর-ধনুক নিয়ে আসুন।” তিনি তা আনলে পর ইলীশায় বললেন, “ধনুক হাতে নিন।” তাতে তিনি তা হাতে নিলেন। পরে ইলীশায় রাজার হাতের উপর তাঁর হাত রেখে বললেন,
17 “পূর্ব দিকের জানলাটা খুলে দিন।” তিনি খুললেন। তারপর ইলিশায় বললেন, “তীর ছুঁড়ুন।” যিহোয়াশ জানলা খুলে তীর ছুঁড়লেন। তখন ইলীশায় ঘোষণা করলেন, “এটা হল সদাপ্রভুর জয়লাভের তীর, অরামের উপরে জয়লাভের তীর। আপনি অফেকে অরামীয়দের হারিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবেন।”
18 তারপর ইলীশায় বললেন, “আপনি তীরগুলো হাতে নিন।” রাজা সেগুলো হাতে নিলে পর ইলীশায় বললেন, “মাটিতে আঘাত করুন।” রাজা তিনবার আঘাত করে থামলেন।
19 তখন ঈশ্বরের লোক রাগ করে বললেন, “পাঁচ বা ছয়বার মাটিতে আঘাত করা আপনার উচিত ছিল; তাহলে আপনি অরামীয়দের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু এখন আপনি মাত্র তিনবার তাদের হারিয়ে দিতে পারবেন।”
20 পরে ইলীশায় মারা গেলেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হল।প্রত্যেকবার বসন্তকালে মোয়াবীয় হানাদারেরা ইস্রায়েল দেশে ঢুকত।
21 একবার ইস্রায়েলীয়েরা যখন একজনকে কবর দিচ্ছিল তখন হঠাৎ একদল হানাদারকে দেখে তারা মৃতদেহটা ইলীশায়ের কবরে ফেলে দিল। লোকটার মৃতদেহ ইলীশায়ের হাড়গুলোতে ছোঁওয়া লাগা মাত্রই বেঁচে উঠে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল।