12 ইলীশায় তা দেখে চিৎকার করে বললেন, “হে আমার পিতা, আমার পিতা, দেখুন, ইস্রায়েলের রথ ও ঘোড়সওয়ার।” এর পর ইলীশায় আর তাঁকে দেখতে পেলেন না। তখন তিনি নিজের কাপড় ধরে ছিঁড়ে দু’ভাগ করলেন।
13 তারপর এলিয়ের গা থেকে পড়ে যাওয়া চাদরখানা কুড়িয়ে নিয়ে তিনি ফিরে যর্দনের ধারে গিয়ে দাঁড়ালেন।
14 সেই চাদরখানা দিয়ে তিনি জলে আঘাত করে বললেন, “এখন এলিয়ের ঈশ্বর সদাপ্রভু কোথায়?” তিনি জলে আঘাত করলে পর জল ডানে ও বাঁয়ে দু’ভাগ হয়ে গেল, আর তিনি পার হয়ে গেলেন।
15 যিরীহোর যে শিষ্য-নবীরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা ইলীশায়কে দেখে বললেন, “এলিয়ের আত্মা ইলীশায়ের উপর ভর করেছেন।” তাঁরা ইলীশায়ের সংগে দেখা করতে গেলেন এবং তাঁর সামনে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে বললেন,
16 “দেখুন, আমরা এখানে আপনার পঞ্চাশজন শক্তিশালী দাস রয়েছি; আমরা গিয়ে আপনার গুরুকে খুঁজে দেখি। সদাপ্রভুর আত্মা হয়তো তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে কোন পাহাড়ে কিম্বা কোন উপত্যকায় নামিয়ে রেখেছেন।”ইলীশায় বললেন, “না, যেয়ো না।”
17 কিন্তু তাঁরা পীড়াপীড়ি করতে থাকলে তিনি লজ্জায় পড়ে বললেন, “আচ্ছা, যাও।” তখন সেই পঞ্চাশজন লোক এলিয়কে খুঁজতে গেলেন। সেই লোকেরা তিন দিন ধরে খোঁজ করেও তাঁকে পেলেন না।
18 ইলীশায় তখন যিরীহোতে ছিলেন। তাঁরা ইলীশায়ের কাছে ফিরে আসলে পর তিনি তাঁদের বললেন, “আমি কি তোমাদের যেতে বারণ করি নি?”