15 তখন নামান ও তাঁর সংগের সমস্ত লোকেরা ঈশ্বরের লোকের কাছে ফিরে গেলেন। নামান তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আমি এখন জানতে পারলাম যে, একমাত্র ইস্রায়েলের ঈশ্বর ছাড়া সারা দুনিয়ায় আর কোন ঈশ্বর নেই। এখন আপনি আপনার দাসের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করুন।”
16 উত্তরে নবী বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য যে, আমি একটা জিনিসও গ্রহণ করব না।” নামান জোর করলেও তিনি রাজী হলেন না।
17 নামান বললেন, “আপনি যদি কিছু না-ই নেন তবে দয়া করে দু’টা গাধা বয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন মাটি আপনার দাসকে দিন, কারণ আপনার এই দাস সদাপ্রভু ছাড়া আর কখনও কোন দেবতার কাছে পোড়ানো ও অন্যান্য উৎসর্গ করবে না।
18 কিন্তু এই একটা ব্যাপারে যেন সদাপ্রভু তাঁর দাস আমাকে ক্ষমা করেন। আমার মনিব যখন রিম্মোণ দেবতার মন্দিরে ঢুকে আমার সাহায্যে রিম্মোণের উদ্দেশে মাটিতে মাথা ঠেকান তখন আমাকেও সেখানে মাটিতে মাথা ঠেকাতে হয়। এই ব্যাপারে যেন সদাপ্রভু আমাকে ক্ষমা করেন।”
19-20 ইলীশায় বললেন, “আপনি মনে শান্তি নিয়ে চলে যান।”নামান তাঁর কাছ থেকে কিছু দূরে যাবার পর ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের চাকর গেহসি মনে মনে বলল, “ঐ অরামীয় নামান যা এনেছিলেন তা গ্রহণ না করে আমার মনিব এমনিই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য যে, আমি তাঁর পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু চেয়ে নেব।”
21 এই বলে গেহসি নামানের পিছনে পিছনে দৌড়ে গেল। তাকে তাঁর দিকে দৌড়ে আসতে দেখে নামান তাঁর সংগে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নামলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সব কিছু ঠিক আছে তো?”
22 উত্তরে গেহসি বলল, “সবই ঠিক আছে। তবে আমার মনিব আপনাকে এই কথা বলবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন যে, ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকা থেকে শিষ্য-নবীদের দু’জন যুবক এখনই তাঁর কাছে এসেছেন। তাই আপনি যেন দয়া করে তাদের জন্য ঊনচল্লিশ কেজি রূপা আর দুই সেট পোশাক দেন।”