4 রাজা তখন ঈশ্বরের লোকের চাকর গেহসির সংগে কথা বলছিলেন। তিনি তাকে বলছিলেন, “ইলীশায় যে সব বড় বড় কাজ করেছেন তা আমাকে বল।”
5 গেহসি যখন রাজাকে বলছিল কেমন করে ইলীশায় মৃতকে জীবিত করেছিলেন ঠিক সেই সময়ে যে স্ত্রীলোকটির ছেলেকে ইলীশায় মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন সেই স্ত্রীলোকটি রাজার কাছে তাঁর বাড়ী ও জমি ফিরে পাওয়ার জন্য মিনতি করতে আসলেন।গেহসি তখন বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, ইনিই সেই স্ত্রীলোক এবং এ-ই তাঁর ছেলে যাঁকে ইলীশায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন।”
6 রাজা তখন স্ত্রীলোকটিকে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পর তিনি তাঁকে সব কথা বললেন।এতে রাজা সেই স্ত্রীলোকটির ব্যাপারে একজন কর্মচারীকে নিযুক্ত করে তাকে বললেন, “তার সব কিছু তাকে ফিরিয়ে দাও আর সে দেশ ছেড়ে যাবার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার জমি থেকে যা আয় হয়েছে তাও ফিরিয়ে দাও।”
7 এরপর ইলীশায় দামেস্কে চলে গেলেন। সেই সময় অরামের রাজা বিন্হদদ অসুস্থ ছিলেন। রাজাকে বলা হল, “ঈশ্বরের লোকটি এখানে এসেছেন।”
8 রাজা তখন হসায়েলকে বললেন, “তুমি একটা উপহার নিয়ে ঈশ্বরের লোকের সংগে দেখা করতে যাও। তাঁর মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর কাছ থেকে জেনে নাও যে, আমি এই অসুখ থেকে ভাল হয়ে উঠব কি না।”
9 হসায়েল তখন উপহার হিসাবে দামেস্কের সবচেয়ে ভাল ভাল জিনিস চল্লিশটা উটের পিঠে বোঝাই করে নিয়ে ইলীশায়ের সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি ইলীশায়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, “আপনার পুত্র অরামের রাজা বিন্হদদ এই কথা জিজ্ঞাসা করতে আমাকে পাঠিয়েছেন যে, তিনি এই অসুখ থেকে ভাল হবেন কি না।”
10 উত্তরে ইলীশায় বললেন, “তুমি গিয়ে তাঁকে বল যে, তিনি নিশ্চয়ই ভাল হয়ে উঠবেন, কিন্তু সদাপ্রভু আমার কাছে প্রকাশ করেছেন যে, আসলে তিনি মারা যাবেন।”