23 এই কথা শুনে যোরাম ঘুরে পালাবার সময় অহসিয়কে ডেকে বললেন, “অহসিয়, এ বিশ্বাসঘাতকতা।”
24 তখন যেহূ সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের ধনুকে টান দিয়ে যোরামের দুই কাঁধের মাঝখানে তীর ছুঁড়লেন। তীর গিয়ে তাঁর হৃদপিণ্ডে বিঁধল এবং তিনি রথের মধ্যে পড়ে গেলেন।
25 তখন যেহূ তাঁর সংগের সেনাপতি বিদ্করকে বললেন, “ওকে তুলে নিয়ে যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের জমিতে ফেলে দাও। মনে করে দেখ, আমি আর তুমি তাঁর বাবা আহাবের পিছনে রথে করে যখন যাচ্ছিলাম তখন সদাপ্রভু আহাবের বিরুদ্ধে এই কথা বলেছিলেন,
26 ‘আমি সদাপ্রভু বলছি, গতকাল আমি নাবোত ও তার ছেলেদের রক্ত দেখেছি, আর এই জমির উপরেই তোমার কাছ থেকে নিশ্চয়ই আমি তার প্রতিশোধ নেব।’ তাহলে তুমি এখন সদাপ্রভুর কথা অনুসারে ওকে তুলে নিয়ে ঐ জমিতে ফেলে দাও।”
27 যা ঘটেছে তা দেখে যিহূদার রাজা অহসিয় বৈৎ-হাগ্গানের পথ ধরে পালিয়ে গেলেন। যেহূ তাঁর পিছনে তাড়া করে যেতে যেতে চিৎকার করে বললেন, “ওকেও মেরে ফেল।” তখন লোকেরা যিব্লিয়মের কাছে গূর নামে উঠবার পথে অহসিয়কে তাঁর রথের মধ্যে আঘাত করল, কিন্তু তিনি মগিদ্দোতে পালিয়ে গেলেন আর সেখানেই মারা গেলেন।
28 তাঁর কর্মচারীরা তাঁকে রথে করে যিরূশালেমে নিয়ে গেল এবং দায়ূদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে তাঁর জন্য ঠিক করা কবরে তাঁকে কবর দিল।
29 আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের এগারো বছরের সময় অহসিয় যিহূদার রাজা হয়েছিলেন।